তোমার যূগল ভ্রু'র চর্চিত অন্ধকারে
যুগপৎ আসন গেড়েছিলো যে ত্রাস ও প্রশ্রয়
তার ঠিক মধ্যখানে, তুমি সূর্য উঠাও
টুকটুকে লাল ভোরের সূর্য,
লালিমা ছড়িয়ে যাক তোমার বনলতা দেহে
কপাল ও গাল সমেত হয়ে উঠুক সে এক নিখাদ সোনালী।
খানিকটা এলো চুল আলগোছে চুমে যাক
মায়াবী দোলনার মতো দোল খাক,
ছুঁয়ে ছুঁয়ে ছুটে ছুটে পালিয়ে যাক, অতঃপর
মৃদু কম্পনে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে যাক কপাল বেয়ে গালে।
বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা ঘনাবার প্রথম এককে,
তুমি নিজেকে সান্ধ্য সাজে সাজাও।
সময় অনুপাতে ক্রমান্বয়ে ধূসর, তারপর কালো
শেষে ঘন কালো বা কালোয় যা গাঢ়তর,
সেখান থেকেই একচিমটি রঙ ভ্রু যূগলের
ঠিক মধ্যখানটায় শোভিত করো।
চেয়ে দেখো, তোমার যূগল ভ্রু'র চর্চিত অন্ধকারে পুনরায়
আসন সাজিয়েছে শাসন, ত্রাস এবং তারপরই প্রশ্রয়,
চোখ তোমার কেবলই চোরাবালি, দেখো চেয়ে
ডুবে ডুবে মরছে সেখানে পৃথিবীর সমগ্র অহংকারী সময়।