এখানে মন্থর লয় সকলে, কারও অবকাশ নেই
কেবলই অবসর, বিরাম, বিশ্রাম কিছুক্ষণ;
যতটুকুতে কেবলই নূন্যতম কুশল বিনিময়
তথাকথিত হাবভাব আর সামান্য রূঢ় কথোপকথন।
সকল দুয়ার বন্ধ এখানে, জানালার কপাট ও
ঘুচানো, কোন সুযোগ নেই বাতাস ঢুকার. আলো দাঁড়ানোর;
তবু রোদ ছেয়ে গেছে নগরের প্রতিটি অলি-গলি-রাস্তা
শ্বাস দেয় অভিজাত বাতাস একদম সুক্ষ্ম থেকে সুক্ষ্মতর।
এখানে গ্রহীতা সকলে, কারও আকাঙ্ক্ষা নেই দানের
শোষণ করে অদ্যপান্ত প্রকৃতি, ত্রাস সঞ্চারে চলে বেশ;
আমিও উঁচু তলার কেউ, খাদক সর্বোচ্চ স্তরের
প্রকৃতি থেকে আমার নেওয়ার দৈর্ঘ্য শেষ।
এবার দেবো বলে দরজার পাল্লা খুলে দাঁড়িয়ে থাকি
খদ্দের খুঁজি, আকাশের দিকে তাকালে তাকেও_
খদ্দের মনে হয়, খদ্দের মনে হয় সকল জীবন,
জড়, মৃত জমিনটাকে এবং স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাকেও।
অতিরিক্ত খদ্দের প্রয়োজন, সম্প্রদান আমি সম্পূর্ণ
বিনিময় খাদ্য, নিশ্চিত স্বাভাবিক মৃত্যু আর মুঠো আহাজারি;
হয়তো বুঝাতে পেরেছি, আমার কাছে আমার সবকিছু
এবং আমার ওজনের চেয়েও এক থালা ভাত কত ভারী!