ব্যাথাতুর সব স্বপ্নের ভেতর হেঁটে যাওয়া
আমিই কি তবে সেই বিকেল!
যার দীর্ঘশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসে অসংখ্য ভোর,
মধ্যাহ্ন এবং বিবর্ণ সব সন্ধ্যা!
শত সহস্র ক্ষত বক্ষে-স্কন্ধে বহন করতে করতে
আমি আজ কাকতাড়ুয়া!
অপেক্ষার ছায়া মারাতে গিয়ে,
আমি আজ গন্ধহীন এক বিদেহী রজনীগন্ধা!
এও কি সম্ভব! ভালোই তো বেসেছিলাম?
অপরাধ করেছিলাম কি?
আমার এমন দীর্ঘশ্বাস, অনিঃশেষ অপেক্ষা, অনবরত
চক্ষু জল সিঞ্চন
এসব যদি 'অপরাধ' শব্দের সমার্থক হয়, তবে আমি অপরাধী।
অবশেষে,
সবশেষে, আমার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়ো না।
আমার চেতনা আর
পাগলামি গুলোর মধ্যবিন্দুতে বসে তাস খেলে
এক জ্যামিতিক বৃত্ত।
বৃত্ত মানেই—
        গোল
            গোলাকার
                    গোল্লাছুট
                            আর আমার বর্তমান অবস্থান, এবং
শূন্যও বটে।
ক্ষয়িষ্ণু জীবনের খেলাঘরে খেলতে খেলতে শূন্যের ধাঁধায়
সময় ফুরিয়ে গেলে,
আমি রসায়নের রসিকতায় মত্ত হই।
অতঃপর অবোধ রাতের পাঠশালায়
আমি এক অবুঝ বালক—জীবনের কেমিস্ট্রি পরীক্ষায়
পদ্যের পর পদ্য লিখতে গিয়ে এঁকে চলেছি
বহুকালদর্শী বহুভুজ,
মানে শূন্য।