তুমি চেয়েছিলে, এক কবি প্রতিভ প্রেমিক,
এবং চেয়েছিলে একটি কবিতা, যা লেখা হবে
শুভরাত্রি শিরোনামে; গোলাপি খামে আবৃত হবে
এবং তা মোম গলিয়ে মোহরাঙ্কিত করা থাকবে।
তুমি ভেবেছিলে, কবিতাটি লেখা হবে ম্যানিলা
কাগজের উপর কুইল সহযোগে, জাফরান কালিতে;
খাম খুলতেই কস্তরী সৌরভ, সাথে থাকবে সোদামাটির
ঘ্রাণ, আর তুমি তা বালিশের নিচে রেখে শোবে।
তুমি ডেকেছিলে, হিপনোসকে তার পুত্র মরফিয়াস সহ,
এবং চেয়েছিলে যাতে অ্যাপোলো ও আসে, এবং
শিয়রে বসে আবৃত্তি করতে থাকে কবিতা, তারপর
সেখানে সুর, তাল মিশিয়ে গেয়ে যায় রাতভর।
রাতের রত্নরাগ দেখে নির্ণয় করেছিলে যে পাবার আভাস,
সেখানে আসন গেড়ে বসেছে আঁধার, নিঃসঙ্গতা, ঘুম হীনতা;
তুমি খুঁজে পাওনি সেই প্রেমিক, তার কবিতা
আর কোন দেবতাই শুনেনি তোমার আহ্বান, অতঃপর।
রাত্রির দিকে তাকালেই, অনুনয়ে বিনীত চাহনি দেখি,
তোমার দীর্ঘশ্বাস জ্বলন্ত অবয়বে আকাশে আকাশে জ্বলছে,
আঁধার ঠিকরে পড়ছে তোমার চুল বেয়ে, নেমে যাচ্ছে
মিশে যাচ্ছে মাটিতে, কালো হচ্ছে দিবা সেই আঁধার মেখে।
অবশেষে আমি কিউপিড, সূর্য রশ্মি আর কস্তরী
জাফরানের সাথে মিশিয়ে কুইল সহযোগে একখণ্ড
মেঘের গায়ে লিখে দিচ্ছি শুভরাত্রি শিরোনামে কবিতা,
যা বহন করবে ইথার, তুমি শুয়ে যাও চাঁদে মাথা রেখে।