চির দ্যূতিময় কণকে গড়া এক নুপুর আমি
তোমার মনের আনাচে কানাচে বেজে চলি
অনবরত কোন সুরে, সুক্ষ্ম সুরে, নিক্কন হয়ে;
তুমি মেখে নিও গালে, গতরে মৃদু ছন্দময়
জ্যোৎস্নার কোমলতা, ভরে নিও চোখে
সেই স্নেহ, যা সুদূর থেকে নামে রাত্রির গা বেয়ে।
তুমি জেগে থাকো তব বাতায়ন খুলে দোদুল
মোমের স্নিগ্ধ আভায়, দখিনা সমীরে পাঠাবো
ক্ষণ হৃদয় বারতা, কান পেতে শোনো তা ভ্রমরে;
শুনে নিও আহ্বান, আহত এক আত্মার গান
শুনে নিও এক সম্মোহন, ব্যাপিত আকাঙ্খার কথা
শুনে নিও সব আহাজারি ঝরা পাতাদের মর্মরে।
জেনে নিও সুদূরপ্রসারি এবং উন্মুক্ত আমার
ভালোবাসার অনবদ্য সব পঙক্তিমালা,
ধেয়ে আসা উড়ন্ত সব বিহঙ্গের ডানার তানে;
তোমার অনুভূতির গায়ে গতরে দিও পতিত
সব শবনম নিঃসৃত স্বচ্ছ স্নেহের প্রলেপ,
দেখো আমাকে, অনুভব তরঙ্গভরা জলের প্রতিফলনে।
কামনার অন্তরীক্ষে যে জ্যোতিষ্ক মন্ডল চকচক জ্বলে
তাদের মধ্যাস্থতাকারী খেয়ালী একজনের কানে
শুনে নিও আমার বর্তমান, রাতের ধ্রুব প্রতিশ্রুতিতে;
আমি পরিযায়ী মেঘ, ছুঁয়ে দেব চোখ তোমার
করবো ভাবনার বিনিময়, আমাকে খুঁজে নিও
বিস্তৃত আকাশে ধোঁয়া ধোঁয়া দিগন্তের প্রসারিত বাহুতে ।