কার্বন তুমি, কত রূপভেদ তোমার স্বভাবে!
কত খুঁড়েছি মৃত্তিকা বক্ষ, যখনই গেছি কাছাকাছি
কেবলই দেখেছি ভ্রম, মরিচীকা ধু ধু, ধূর্ত আলোর ছলনা।
হাতরে ফিরেছি কাল থেকে কালান্তর
পেয়েছি কেবলই ইশারা, কে যেন পথ ভোলায়
দেখা দেয় শুধু, ছোঁয়া অসম্ভব, যেন মহামূল্যবান গহনা।
শত বর্ষ পথিক আমি, পথের সাথে আত্মীয়তা
জিজ্ঞেসি পথে, "প্রেম করেছো কি? লভেছো কি অমৃত দর্শন?"
উত্তরে শুনি, "ভালোবাসি পথিক, যে চিহ্ন আঁকে মোর বক্ষপটে।
পুছি সাগরে,"পেয়েছো কি স্নেহ শবনম?"
বলে, দেখো চেয়ে, আছে লেখা মোর ব্যাপিত বালুকা তটে,
ঐ যে অদূরে মরিচীকা জ্বলে, ধোঁয়া উড়ে মোর হৃদয় সন্নিকটে।
ব্যাপক পর্বত কিম্বা সুসার গগন স্কন্ধে, আছে প্রেম কোনস্থানে?
কেবলই কি শূন্যস্থান? সবখানে শূন্য শুধু, মৃদু অভিমান কোথা?
কোন প্রতিধ্বনি মাঝে প্রতিরূপ তার, কোন শ্যামল আস্তরণে?
ভুবনে, গগনে, পর্বতে, সমীরণে, খুঁজি কত স্থানে
কি রূপ তোমার, কহ প্রহসন? দেখাও স্বরূপ অবুঝের চোখে।
অদৃশ্য হেসে বলে, "কেবলই পাওয়ার আকুতি, মূর্খের জীবনে।