ও বৈশাখী, তোর হয়েছে কি রে?
কেন যাস অমন হনহনিয়ে?বুঝতে পারিনে,
কিসের অত তাড়া থাকে, ওরে দস্যি মেয়ে?
ধপাস্ করে বসে বৈশাখী, অবাক পানে চেয়ে।
দোষ তো সব আমারই গা, দেখতে পাও জানি
বলি ঐ ঠ্যাটা সূর্য্যিটারে, চোখে দেখনা তুমি।
মেঘের সাথে খেলছিলেম আমি ঝড়-বৃষ্টিরে নিয়ে,
চুপটি করে পালিয়ে এল, চুলেতে টান দিয়ে।
বুকে,পিঠে ঘামাচি দিয়ে জ্বালিয়ে মারে সবারে,
বলতে গেলেই মুখ ভাঙায়, দাঁতগুলি বের করে।
খাল-বিল,পুকুর,নদী থেকে জলেরে নেয় টেনে,
দস্যি ছেলে বলে,একবারও তো তার বিচার করনে।
নীল আকাশটারে দোসর করে, সাহস দেখায় ভারী
ঝড়-বৃষ্টি, বিদ্যুতেরে নিয়ে,তাই আমি ওরে ধরি।
শোন না পোড়ামুখি-কালবৈশাখী, কি বলে সব লোকে?
ধেয়ে যাস যেখান দিয়ে, ব্যথা দিস ওদের বুকে।
অট্টহাসি হাসিয়া বলে বৈশাখী, এইতো সমাজের রীতি
ছেলে - মেয়েতে ফারাক করে, এইতো ওদের নীতি।
আমার মত দস্যি মেয়ে, আরও আসুক এ দেশেতে
গলা ফাটিয়ে জানতে চাইবে, কেন থাকবেনা তারা সুখে?