ছায়াঘন সেই পর্ণমৌচীর ভিড়ে
মনে পড়ে সেই একাকী অমলতাস
আলো-ছায়া রোদ পড়তো সবুজ চিরে
আমরা দু’জনে , শূন্য চারিপাশ ।
তুমি ছিলে ভারী বৃষ্টি বিলাসিনী
অমলতাস-ও ছিল ঠিক যেন তাই
হঠাৎ লাজে ঢেকেছিলে মুখ খানি
এলোচুলে ছিল ঘনমেঘ রোশনাই ।
সোনাঝুরি পথ পেরিয়েছি পায়ে-পায়ে
সোনা-সোনা রোদ থাকেনি অপেক্ষায়
দু’হাতে কুড়িয়ে মেঘ মেখেছি গায়ে
বনফুল ফোটে ফোটার আকাক্ষায় ।
বৃষ্টি তোমায় সাজাতো খুকির সুখে
দু’কানে ঝোলাতো অমলতাসের ঝুরি
বনফুলে সেজে বনসুখ চোখে মুখে
সোহাগী স্পর্শে ভেসে যেত মঞ্জরী ।
এখনো অসীমে মেঘ খেলে ভেসে-ভেসে
বৃষ্টিকে বুকে বয়ে চলে ভালোবেসে
ইচ্ছে মনের মেঘকে রাখি ধরে
নিয়ত তোমাকে ভিজাবো আপন করে ।
জানি আমি, তুমি বৃষ্টি ভালোবাসো
বৃষ্টি পেলে এখনো তুমি হাসো ।