গ্রামখানি ওই নদীর কোলে , নৌকা চলে ঝাকে
সূর্যি মামা নিত্যি সেথায় রঙ্গীন ছবি আঁকে ।
সূর্যি মামা অস্ত গেলে হাসতে থাকে রাকা
স্নিগ্ধ সকাল – অলস দুপুর নিত্য সুখে থাকা ।
দীগন্ত ছোঁয় সবুজ মাঠে আকাশ নীলিমায়
দক্ষিণ হাওয়া ধানের শিষে ঢেউ খেলিয়ে বায় ।
বকের ডানায় গড়ায় বিকেল , দেখতে তুমি চাও ?
বইছে নদী দু – কূল ছেপে , জল বিষ বাঁউ ।
বন ফুলেরা গন্ধ বিলায় দেদার অকৃপণ
ফুলে ফুলে জলসা জমায় মধুপ গুঞ্জরন ।
শাখায় শাখায় কিচির–মিচির শাঁলিখ – বটের – চড়াই
মুগ্ধ হবে দেখলে তাদের খুঁনসুটি আর লড়াই ।
শান্ত জীবন জড়িয়ে যাপন ঘরের মধ্যে ঘর
সবার সুখে সবার বাঁচা ব্রাত্য আপন – পর ।
শ্রান্ত পুরুষ ফিরলে বাটে বিকেল – সন্ধ্যা – রাতে
আপন নারী ক্লান্তি মোছায় আপন আঁচল হাতে ।
সূর্যি মামা যখন ওঠেন ঘুম ভাঙ্গানো ভোরে
এক ঝুড়ি রোদ ছড়িয়ে বেড়ান গ্রামের দোরে দোরে I
সোনা রোদে সোনার ফসল দোলায় মাথা মাঠে
চাঁদের বুড়ি চরকা কাটেন সূর্যি গেলে পাটে ।