তুমি ছিলে মেঘ নন্দিনী
আকাশ পটে নানান ছবি আঁকো ।
অঝোরে ঝরে তুমিই স্রোতস্বিনী ?
তখন তোমায় চিনতে পারি নাকো
তপ্ত বোশেখ শার্শি ভেজে ক্রমে
মেঘ বালিকা – তোমার অবুঝপনায়
বদ্ধ ঘরে মান-অভিমান জমে ,
প্রাণের সাড়া দ্বারের হাসনুহানায় ।
পাহাড় চিরে সোঁতায় পাগলপারা ?
রামধনু রং রাঙায় তোমায় নিতি ,
নিঝুম নিশি , মাতাল স্রোত-ধারা
সাঁঝ সকালে ভাসিও আঁধার ভীতি ।
উজিয়ে উজান গন্ধে খবর ভাসে
ঘুম ভেঙ্গেছে বাঁকের বনফুলে ।
টিলার মাথায় সন্ধে নেমে আসে
জ্যোৎস্না খেলে তোমার এলো চুলে ।
শিখর ছুঁয়ে ঝর্ণা হয়ে নেমে
মেঘ বালিকা – মেঘের দেশে যাবি ?
আকাশ গাঙ্গে সময় আছে থেমে ,
রং – তুলিটাও আবার হাতে নিবি ?