অনেক দিন পর এসেছে শুভদিন,
বারদীর উদ্দেশ্যে যাব
তাইতো আজ আমাদের ছুটির দিন ।
সকালে ওঠে করি রবি প্রণাম,
পরোক্ষণে করি আমি নিত্য স্নান।
বাবা লোকনাথের আশির্বাদে
সফল হয় মোদের বারদী ভ্রমন।
যেতে যেতে পথে পথে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য
উপভোগ করে সকলের অবাক লোচন।
বাল্যভোগ, রাজভোগ করে মোদের উদর পুর্তি
বাবা লোকনাথের সাত্ত্বিক দর্শন
হ্রদয়ে এনে দেয় পরম শান্তি।
কত মা, বোন , ভাই , বাবা বৃক্ষে বাধে রশি
পুরণ করো বাবা তাদের মানত
সকলের ওষ্ঠবিম্বে যেন দেখা যায় স্বর্গীয় হাসি।
দেখা পেলাম মহাশ্মশান কালীমন্দির !
অনুভব হলো যেন পেলাম মোরা
স্বর্গসুখ আর হ্রদয় ভরা পরম শান্তির ।
কেহ বাজায় বংশি, মৃদঙ্গ
আমরা গেয়ে যাই হরি কির্তন মুখ্যাংগ ।
পুস্করিণীতে দেখা যায় রুদ্রমুর্তি
তাই সকলে মত্ত হয়ে বলি-
পিনাকপাণির পাশে একটা তো ছবি তুলি !
বকুলবৃক্ষ থেকে পড়তে থাকে অনবরত বকুল ফুল
ছোট ছোট শিশুরা তৈরী করে বকুল মালা
মালাগুলো যেন মনে হয় নিপুণ আর নির্ভুল।
কেউ কেনে প্রিয়জন কে দেবার জন্য
কেউবা কেশে বাধার জন্য
আবার কেউবা হ্রিদয়ের দুখ ভোলার জন্য।
কিন্তু এই কাব্যবিলাসী বলে-ফুল সকলের জন্য ।
কেউ দেয় কপোলে চন্দন ফোঁটা,
কেউবা হাতে লাল সুতা ,
সকলে চায় বাবা লোকনাথের আশির্বাদ
এটা তো সকলের অন্তরের কথা।
সর্বশেষ আকর্ষণ বাবা দিননাথ ব্রহ্মচারী
বাবা লোকনাথের ভক্ত
দেখেছেন প্রভাকর সহস্র মহিমায়, সহস্র আলোকে
দিয়েছেন সহস্র জ্ঞান আর আদর্শ ধরণীর মনুষ্যকে।
জ়ীবনে কতো যে করেছি পাপ;
বারদী ভ্রমনে যে জ্ঞান করেছি লাভ ,
তা দিয়ে রোধ করতে পারি যেন সকল –
কামনা , বাসনা আর রাগ।
তাই তোমাকে কোটি প্রণাম-
জয় বাবা লোকনাথ ।।