আমার সাহিত্যের প্রতি ভালবাসার একমাত্র অনুপ্রেরণা হলো আমার খুলনা লাবরেটরী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার ঢালী স্যার এবং আই উ বি টি ইউনিভার্সিটির ইকনমিক্সের অধ্যাপক চন্দন সরকার স্যার । এছাড়াও আমার মাকে দেখতাম আমি ছোটবেলা থেকে ওনেক বই, গলপ উপন্যাস পড়তে। তিনিও ক্লাস ফাইভ থকে বাংলা ব্যাকরণে আমাকে অনেক জ্ঞান দিয়েছেন । আমার মাও অনেক কবিতা লিখে আমাকে পড়ে শোনাত। আমার মা বাংলা ভাষা শেখাতেন আর আমার বাবা ইঞ্জিনিয়ার হবার সপন দেখাতেন । তার ফ্যাক্টরিতে নিয়ে গিয়ে আমাকে ইঞ্জিনিয়ারিং জ্ঞান দিতেন। আজ আমি মা বাবা দুজনের সপ্ন কে নিয়ে জীবন অতিবাহিত করছি। একদিকে ইঞ্জিনিয়ারিং গবেষণা আর অন্যদিকে সাহিত্যচর্চা। আর আমার সবচেয়ে বড় অনুসারী হলো আমার দাদু ডঃ অজয় রায়। আমার বাবা আমাকে যখন আমাকে হারমনি কিনে দিলেন। মা তখন বললেন গানের মাধ্যমে তুই বাংলা কে আরো গভীর ভাবে জানতে পারবি। আর আমার গানের শিক্ষক কানাই লাল হালদার সমীর স্যার । তিনি খুলনা রেডিও সেন্টারের গায়ক , গীতিকার , সুরকার ছিলেন। তিনিও আমাকে তার লিখা গান শেখাতেন।অনেক সাহিত্যিকদের সাথে আমাদের পরিবারের পরিচয় হয়। বাংলা ভাষাকে নতুন করে জানতে পারি আমি। সন্তোষ কুমার ঢালী স্যার বলতেন সবসময় -সাহিত্য হল সবার উপরে । সাহিত্য হলো মনরূপ গঙ্গার সমান। একথা আমি কোন দিন ভুলতে পারবনা। আর ইউনিভার্সিটিতে চন্দন স্যার আমাকে নিয়মিত লিখার জন্য অনুপ্রেরণা দেন। আপনাদের সবার আশির্বাদ না পেলে আজ আমি প্রভাকর রায় হতে পারতাম না। স্যার , মা বাবা, দাদু সবাইকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি বাংলা সাহিত্যকে জীবন সাথী করে নিলাম । আমার পাশে থাকবেন । জয় মা বীণাপাণি...।
আলোচনাটি ৭৫৯ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়: ১১/১২/২০১৫, ১০:৪৫ মি: