নীলবসনায় হেঁটে গেল যে
ঐ গ্রামান্তরে।
ভাঙ্গা গড়ার এ ভুবনে
আমার প্রিয়ংবদা সে।
আয়তলোচোনা সে যে ত্রিনয়না
ত্রিভুবনে সে আমার সুনয়না।
বীরঙ্গনা সে যে মনোহারিণী,
মধুপূর্ণীমার এ লগনে
সে আমার অর্ধাঙ্গিনী।
অরুনরাঙ্গা দেহের বরণ
অপরূপ তার চাঁদবদন,
মধুকরী তার গুঞ্জনে
রচি বসন্ত আমি এ প্রাণে।
ভ্রমরকালো অলক যে তার
মেঘের প্রখরতা।
অজানুলম্বিত সে কেশ যেন
মনে করে দেয় দ্রৌপদীর কথা।
চন্দন কাষ্ঠের ন্যায় সে যে পবিত্র
হিমাদ্রির ন্যায় যেন তার সুউচ্চ হ্রদয় ছত্র।
মধ্যাহ্নের ক্ষিপ্র প্রভাকর সম্মুখে যেমন
সে অগ্নিপরীক্ষা দিতে সদা মগ্ন।
নিশিপ্রহরে ভাস্করাগ্নি নিজ হস্তে
ধারণ করে মধুচন্দ্রিমা গড়ে দিয়ে
ধরণীকে করে সদা স্নিগ্ধ।
পারিজাতের ন্যায় সে যে
ধরীত্রীকে করে স্বর্গপুরী।
চণ্ডির মত কখনো আবার
জগতকে করে তোলে পাপী হত্যাপুরী।
বীরপ্রসূ সে জননী পাণ্ডবসম সন্তানের
মহাযোগিনী সে স্থির সর্বদা সংকটমুহূর্তের।
সৌদামিনী সে আমার
মেঘদূতকে করে আহবান।
কৃষকের মুখে ফোটায় হাসি
মুষলধারে করে জলদান।
সুকণ্ঠী সে আমার মেঘরাগে মন ভোলায়
মহাকবি সে আমার ছন্দময়তা শেখায়।
বিণাপাণী সে আমার,করে আমায় সঙ্গীতমনা
তাই তো আমি ডাকি তাকে সুরের মোহনা।
অনিন্দসুন্দরী সে যে সুদর্শনা
এ ভুবনে সে আমার অঙ্গনা।
কল্যাণী সে যে তরঙ্গিণী
প্রেম মহলের এ আসরে
সে আমার সপ্নরাণী।