সাধারণ লোক, তুমি মোটেও ছিলেনা
সব্যসাচী বললেও, বলা হবে ভুল।
তুমি ছিলে এক অনবদ্য পুরুষ।
প্রায় হারিয়ে যাওয়া এক চাক্ষুষ
বাংলা গল্পের নায়ক।
একটা জীবন, সমস্তটা বৈচতত্রে ভরা
আর উত্তেজনায় গলা অব্দি পরিপূর্ন।
কত যোগ আর বিয়োগ,
কত রহস্য যেন মেখে ছিল অক্ষরে অক্ষরে
তোমার জীর্ণ জন্ম কুণ্ডলীর পাতায়,পাতায়।
তোমার সাথে জেনো, একটা উপন্যাসের হলো অবসান।
তবু গর্ব করে বলতে পারি
আমি তোমার নাতি।
আমার শিরা উপশিরায়
বইছে রক্ত, তোমার মত প্রেমিকের।
আমার চোখে লেগে আছে
তোমার দেখা স্বপ্ন।
আমার মস্তিষ্কে ফুটেছে
তোমার দেওয়া নৈতিক কিছু স্নায়ু।
আর কিছু নিস্পাপ বোধোদয়।
আমার ও মধ্যে ছুটে দিন রাত
বৈপ্লবিক মৌমাছির ঝাঁক।
তোমার মতই প্রশস্থ আমার দুই কাঁধ।
হয়তো তোমার মত দুঃসাহসী হতে
আমার লগে যাবে কয় এক কাল।
তবু আমার হৃদয়ের হৃদস্পন্দনে
তোমার সত্তা রয়ে যাবে সদা কম্পমান।
তুমি থাকবে সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মত
তবু প্রতি প্রজন্মে, কালে কালে
তুমি উঠবে জেগে
আমদের সকলের অন্ত্বর হতে।
গত কালই, তুমি আমায় বিদায় দিলে
দুই হাত তুলে করলে আশীর্বাদ ।
ছুঁতে পারবনা আর কোনোদিন
তোমার সেই শরীর।
যাও ভেসে যাও
হাওয়ার সাথে, আলোর দেশে।
বিরক্ত করবনা আর
ভালো থেকো।