ওই যে গ্রামের শেষ ঠিকানা
যেখানে শিক্ষার আলো আজও অজানা।
সেখানেও শরৎ হয়
হয় পূজোর গন্ধে বাতাস ভরা।
শিউলী মাখা শরতের আকাশে
এই ক্ষুদ্র জীবনের ক্ষণিক অবকাশে-
মানুষ তারা, মানুষের তরে
পূজোয় মাতামাতি করতে না পারে।
শূন্য এ কর্মক্ষেএে তারাই বাকী থাকে
শোনাতে না পারলে, শুনবেই বা কে?
পূজোর সময়, আনন্দে মাতাল হলে
তারা ডুবে থাকে সাদা জলের তলে।
অন্ধ, খঙ্জ ঔ সব ছেলে গুলি ডাকে
রাজনিতী জাদের চাতক পাখী ভাবে।
দেশে কভু কী তাদের প্রোয়জন ফুরোবে?
উসকো খুসকো তাদের সেই মাথা
কে অনুভব করবে তাদের অন্তরের ব্যথা?
মা! তোমার দশটি হাত মেলা
বলতো মা কোন হাতটি -
ওদের জন্যে খোলা?
শিব রুদ্রের পত্নি তুমি প্রচার করো
ধংস করেছ যখন, সৃস্টি তো করো।
শিক্ষার আলো যাদের কাছে অন্ধকার
তোমার আশীর্বাদ হয় কী উপকার?
মা বলে ডাকে, ওই সমস্ত ছেলে
সভ্যজগৎ যাদের সব শুষে নিলে।
এক ফোঁটা আস্রু জল যারা নিয়ে শোবে
তোমার মাতৃ হৃদয় তাদের কী ভাবে?