কয়লার গুঁড়ো মাখা কফ আর
বারুদের গন্ধ মাখানো ঘ্রাণ
মুখ হয়ে গেছে আজ যেন কাগজের শ্মশান।
তবুু বুক ভরে করছি নেশা।
লম্বা চিমনির টার ঝিম কালো মেঘের কাছে -
থেকে গেছে যে ঋণ l
পকেটের ফুটো দিয়ে তাই -
রাজনৈতিক বাতাসে দিচ্ছি টান।
বড় হইচই, কে যেন ডেকেছে বন্ধ l
হবে কনো লাল বা সবুজ, আমি খুশি
আজ আমার টাই টার কোনো কাজ নেই।
ফিরছিনা আজ আর খালি হাতে তাই-
বইয়ের পাতায় বানানো মুড়ির ঠোঙা হাতে খুঁজছি
গত কালের দৈনিকে মুড়ে রাখা মশলা দেওয়া চাট।
আমি বেশ নির্দ্বিধায় করছি পান
শিলমোহর দেওয়া শহুরে দূষণ।
কিন্তু এ আমি কে মা?
এত নই আমি তোমার জন্ম দেওয়ার সন্তান!
ও মা আবার পেটে করে নাও
সেই বছর কুড়ির পর।
খালি পায়ে দৌড়ে যাব
মাঠের পর মাঠ।
নরম কাদা আঙুলের ফাঁকে থাকবে লেগে l
মনে পড়ে সেই আতা গাছ টাকে?
কত পাখি এসে বসতো তাতে।
বুলবুলি, নেজঝোলা, টিয়া, হলুদ পাখি
আরো কত কি।
এখন ফাঁকা ডালে শুধু কাক ডাকে।
মনে পড়ে!
কিভাবে পুকুরের নিচ থেকে - এক ডুবে
তুলে আনতাম পাকা খেজুর কুল।
জ্যামিতির বাক্সে লুকিয়ে রাখা দাড়ি কাটা ব্লেড
যখন চোখে শুধু থাকতো লেগে আমের মুকুল।
ও মা আবার পেটে করে নাও
সেই বছর কুড়ির পর।