ভালোবাসা একটা জটিল
সংজ্ঞা হীন মৌলিক জ্ঞান।
সারি সারি আবেগের সমষ্টিতে
একটা সমসত্ত্ব মিশ্রণ।
আমি তো পেয়েছিলাম খুঁজে
সেদিন তোর পায়ের পাশে বসে।
থর থর কেঁপে ছিলো
তোকে ছুঁয়ে থাকা হাতের আঙ্গুল।
কম্পনের তরঙ্গ ছড়িয়ে ছিল
আমার অন্তরের চতুর্দিক।
তোর স্বপ্ন, তোর ভালোলাগা,
তোর জীবন উচ্ছ্বাসের ঢেউ।
জল হয়ে ভেসেছিল সেদিন দুচোখে।
সেই অসহায় ক্ষণে,
সেই একাকীত্বে,
সেই নশ্বর উপলব্ধিতে,
সব চেয়ে প্রিয় ছিলি তুই।
পেয়েছিলাম খুঁজে নিজের সত্তা কে
সেদিন তোর পাশে বসে।
আমার পৃথিবী, আমার পার্থিব শরীর
আর একটা যুগ ধরে হেরে যাওয়া আমি-
হটাৎ করে, উপন্যাসের ঘটনা চক্রব্যূহে মত-
তোর ভালোবাসার নির্যাসে,
যেন এক সংগ্রামী গান সঞ্চার হয়েছিল প্রাণে।
কত ক্ষুদ্র আমি আর,
কত ক্ষুদ্র আমার ভালোবাসার পরিধী
হাতের রেখায় এখন -
গুনতে পারি প্রিয় মানুষদের নাম।
ঠোঁটকাটা নিজের শব্দ গুলো এতদিন
আমায় করছিল শরবর্ষাতে বিধ্বস্ত।
আমার মনের একাত্তরে।
কোনটা ভালো, কোনটা ঠিক,
কোনটা ন্যায় আর কোনোটাই সত্যিকারের মানবিক?
প্রশ্ন আর প্রতিযোগিতা ছিল-
মনে, মানসে, প্রতিনিয়ত।
সিদ্ধান্তের সাথে আসক্তির
গুরুত্ব সাথে সার্থ আর যুক্তির হতো সংঘর্ষ।
তবু লড়াই টা যে নিজের সাথে ছিল আজীবন
সেটাই জানিলাম আজ এই ক্ষণে।
সেই দিন দাদা তুই যেন আরেকবার
কিছু না বলেও, আমায় শিখিয়ে দিলি
ভালোবাসার সুর আর ইশারায় দেখিয়ে দিলি
এরা সব মনের মানুষজন।