বিস্তৃত ধরণী, অঙ্গ রহিনী, তৃষিত হৃদয়-
তুমি যে মরু।
উষ্ণ শ্বাস, শেষ নিশ্বাস, ক্লান্ত দেহ-
শীতল তরু।
পাইবারে দিশা, প্রাণ অণ্বেষা, চাতকের ডাক-
তুমি মরীচিকা।
নূপুরের ধ্বনি, খুঁজে তার বিবরণী, ভাগ্যের রেখা-
আজ যেন ক্ষুদ্র শলাকা।
মুক্ত আবরণ, বেদুইন মন, ছুটে চলে রথে-
তারাদের সাথে।
ক্ষনিকের ভীতি, বিশাল বিস্তৃতি , রক্তের দাগ-
শেষ প্রভাতে।
স্বপ্নের নীড়, মাখে ধুলোর আবির, প্রভাতের শেষে-
আজ স্নিগ্ধ সমীর।
শুকনো হৃদয় মাঝে, এক বিন্দু নীরের, স্বপ্নে বিভোর-
এ ক্লান্ত শরীর।
সহস্র বিহনে, আজ ব্যকুল হৃদয়, তবু জড়িয়ে থাকে-
অজানা শীতল ভয়।
দ্বারে এসে আজ, না দিই অাওয়াজ, পিছনে আজ যেন-
চোরা স্রোত নেমে যায়।
মরীচিকা তুমি, পথ হারিয়েছি আমি, খুঁজে মরি -
শুকতারা, এ আরব্য রজনীর।
ভবঘুরে হয়ে, কোন মায়াজালে, ফিরে আসি বারে বারে-
তোমার আঁচলে, বালুকায় অন্তনীর।