গত সারাটা রাত ধরে
আমার সুতোর খাঁজে খাঁজে
তোর গায়ের সব ময়লা লেগে।
এই বার তুই আমায়
গুঁড়ো সাবানের সাথে কেচে দিলেই পারিস।
মনে পড়ে?
সেই প্রথম রাত আর গোলাপের গন্ধ টাকে।
তার পর, কত যুগ ধরে
শুষে এসেছি তোর চোখ সমুদ্রের লবণের জল
একলা ঘরে।
এই সুতোর পাঁজর, কতবার
গেছে ভেঁগে।
অঁকড়ে ধরা তোর অঁগুলের চাপে।
কতবার ভোর রাতে
মমির কাপড়ের মতো
করেছিস তুই আমায়, ব্যবহার।
আর কতবার বানিয়েছিস,
আমার শরীর দেওয়াল করে-
ঘরের মধ্যে ঘর।
কখন যেন রাতারাতি
দেখি ঝুলছি আমি
পূবের জানালায়।
আর তুই শুয়ে আছিস
বালাপোশ টায় মুখ ঢেকে
কুরলনের ওই নতুন গদিটায়।
না আমি করছিনা হিংসে
আমার কিছু যায় না আসে
তোর স্বার্থপরতায়।
আমি শুধু ভাবছি এখন
ইস! যদি এইভাবে
জলন্ত সূর্যের উষ্ণতার তাপে
গা পেতে।
পারতাম জ্বালিয়ে দিতে
প্রতি রাতের পাপ আর
গোপন চক্রান্ত গুলো কান থেকে।
না আর ঝাড়িসনে ধূলো।
বঁসের কঞ্চিটারও মুখ গেছে বেঁকে।
আমার দাম মাত্র সাড়ে পাঁচশ টাকা।
তোর এত মূল্যবান স্মৃতির
আমি আমার ময়লা কাপড়ে
যত্ন নিতে পারবোনা।