আজকাল কবিতা ছন্নছাড়া লাগে।
কবিতার করাল নোখের শিখা নিভে গেছে কেটে—
বিদ্রোহের ভাষা নেতিয়েছে এসে—
মধ্যবয়েসী বধূটির তলপেটের চর্বির মতো
কবিতার পালক হয়েছে নিটোল ভারি— অসীম নভোলোকে
উড়তে গেলে ক্লান্তি দমিয়ে আসে।
সেদিন কিছু কবিতাকে দেখলাম— অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পলিসির খাঁচায়
ছটফট করছে— বাধ্য বালক বানানো হবে,
অনায়ত্ত বদগুলো যাবে গুয়ান্তানামো কারাগারে।
কবিতা আজকাল ছন্নছাড়া লাগে।
কবিতা যদি কোনো শাষকের পলিসি মেনে ভূমিস্থ হয়—
অসীম শুন্যে উড়তে না পারে—
বৃদ্ধ শামুকের মত স্যাঁতস্যাঁতে পঁচা কলাগাছে ঠাঁই লয়—
নতুবা হয় ক্রেমলিনের কোনো পরাধীন বৃহন্নলা,
যার লিঙ্গবদল হয়েছে চাপে,
তবে কবিতা আর কবে কবিতা থাকে?
হে অন্তরীক্ষ, তোমার মতো কবিতাকে স্বাধীন করো।
সে বড়ো দুর্ভাগা নারী; জীর্ণ শাড়ি,
রুগণ শরীর লয়ে আর কতকাল পাড়ি দিবে ?
আকাশ কী সুদীর্ঘ হেসে বলল,
"কবিতা তো আজো অপূর্ব অলঙ্কারে সজ্জিত আছে!
আজও কবিতার আভিজাত্য আছে!
যা কবিতাই নয়, তারতো নেই।"