এক নিঃসঙ্গ গাংচিল
দাঁড়িয়ে আছে আনমনে বালুচরে
নীল আকাশের নিচে
দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র সীমানার পাশে।
আরো একটু দূরে একঝাক গাংচিল
করছে খেলা আপন মনে।
কখনো তারা উড়ে যায় এখান থেকে ওখানে,
কেউবা ডানা ঝাপটায়
বহুদিনের পুরানো অভ্যাস বশে,
কেউ চিকচিক শব্দে সাগরকে জানিয়ে দেয়
আমরা একঝাক গাংচিল তোমার সাথি।
নিঃসঙ্গ গাংচিল এখনো বসে আছে একা,
ভুলে গেছে ডানা ঝাপটানো,
সাগরের সাথে করিতে খেলা।
সামান্য দূরেই পাহাড় তাকে ডাকে কাছে
ভুলাইতে নিঃসঙ্গতার জ্বালা।
বিস্তৃত ঝাউবন দাঁড়িয়ে আছে নিরবে।
হয়তোবা তাদের মাঝে
প্রিয়জনের কিছু সুখময় স্মৃতি
নিঃসঙ্গতার মাঝে তার মনে দিচ্ছে উকি।
এরই মাঝে পরিপূর্ণ গাংচিলের দল
কখন যেনো চলিয়া গিয়াছে
তাকে ফেলে এই নির্জনতার মাঝে।
হঠাৎ এক ঝাক কাকড়ার দল
হাটতে হাটতে চলে এসেছে কাছে, অতি কাছে।
স্মৃতির জগত ফেলে ডেকে আনলো তাকে
বাস্তবতার জগতে।
নিঃসঙ্গ গাংচিল বুঝিলো এবার
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে, আর দেরি নয়।
সে উড়ে গেলো ধীরে, অতি ধীরে,
হয়তোবা অন্য দ্বিপে
আরো কিছুটা নিঃসঙ্গ সময়
এই পাষাণ পৃথিবীটাকে দিতে।