মূল্যায়ন পায় শব্দ
অনুভুতিগুলোর কোনো শব্দ নেই, ধ্বনি, বর্ণ কিছু নেই,
তাই অনুভূতি সব অনুভবেই চূর্ণ হয়;
হৃদয় শুকিয়ে মরুভূমি হয়, দিকবিদিক হাহাকার তুলে নিস্তব্ধ, নিদারুণ।
মূল্যায়নের সে আশা বৃথা!

এই যে আমি কাজে- অকাজে তোমার ঘোরে পড়ে আছি - সে ঘোর কী আদৌ কাটবে কোনোদিন?
নিকোটিনের ধোঁয়ায় -কী ব্যথা লুকিয়ে রাখি,
সে কী তুমি বুঝবে কভু?বুঝবে না।
বুঝার চেষ্টা করারও তোমার প্রয়োজন নেই।
তোমার কাছে প্রয়োজন শব্দ খুব অর্থবহ।
তুমি প্রয়োজন ছাড়া সাদা কাশবনটার দিকেও তাকাবে না,
ঝড়ে পড়া একটি শিউলি ফুলও কুড়িয়ে হাতে নিবে না।

জানো,
চোঁখ আমার শুষ্ক হয় -প্রতিরাত মোবাইলের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকি অপলক-
যদি কভু ভুল করেও চলে আসে একটি উড়োবার্তা;
বেশি কিছু লিখা নয় তাতে, শুধু এতোটুকুই-
তুমি এভাবে আর অঘুমো করো না, কষ্ট হয় আমার ভীষণ। এবার ঘুমিয়ে যাও।

এই একটি উড়োবার্তার জন্য যে আমি জেগে যাবো অনন্তকাল,সে কী তুমি জানবে কভু? জানবে না।

জানো,
আমার সময়গুলো সব আমার দিকে তাকিয়ে নির্বাক উপহাস করে।
বালিশের এপাশে - ওপাশে করি অার্তনাদ-
ডায়াল প্যাডে নাম্বার তুলি বারবার;
বেশি কিছু শুনতে নয়,শুধু এতোটুকুই -
ফোনের ওপার থেকে ভেসে আসা তোমার কন্ঠের সেই আহ্লাদ মাখানো শব্দ, যেটি অভিধানে পায় নি ঠাঁই।
আমার ভালোবাসা প্রতিরাত ঐ শব্দটাকে খুঁজে ফিরে, হৃদয় আমার প্রতিরাতে চূর্ণ হয়, নিকোটিনের আবেশে।
জানি,
জানবে না তুমি, তোমার ফোনে যে আমার নাম্বারটা অনাকাঙ্ক্ষিত হয়ে আছে।
তবু আশায় আশায় নিশি জাগি,
সে আশা বৃথা জেনেও আমি করিবো বৃথা জীবন পার,
তোমার ভালোবাসার দহনে জ্বলে, এ হৃদয় হয়ে  যাক অংগার।