চাঁদের পরশ পাইনি কখনো
তবে তার জ্যোৎস্নায়
প্লাবিত হতে দেখেছি নিজেকে।
মুগ্ধ চিত্তে দেখেছি জ্যোৎস্নায়
এক আলোকিত প্রহর।
স্নিগ্ধ জ্যোৎস্না মেখেছি
আমার সারা তনু হৃদয়ে।
কতটা প্রহর অপেক্ষায়
নত হয়েছে আমার
এই প্রেমিক হৃদয়,
তার হিসাব নেই কোনো।
তুমি পূর্ণিমার চাঁদ,
তোমাকে আপন করে
পাওয়ার ইচ্ছেটা প্রবল -
তবে সে সাধ্য নেই আমার।
প্রশ্ন, এখন অনেকটা দূরত্ব
ঘনিয়ে এসেছে অমাবশ্যার পরে।
চাঁদের আলো আর আলোকিত
জ্যোৎস্নার কথা মোনেই পড়ে না!
শুধু নিষ্পলক চোঁখে চেয়ে থাকা
কোনো প্রতিউত্তর করা হয়নি।
তাই জমে ওঠেনি কোনো সংলাপ,
প্রশ্নের সম্মুখে দেওয়া দু'একটি জবাব।
তবে বড় জানতে ইচ্ছে করে।
পরশ না পাওয়া তুমি ঐ একেলা চাঁদ,
আমার আকাশ বেদনায় ভরা
তোমার আকাশেও কি আছে খরা!
আমি অনাহত এক মুক্ত -বিহঙ্গ
ছুটে বেড়াই জ্যোৎস্না প্লাবিত আলোকিত প্রহরে,
অগনিত তারার মাঝে চাঁদের পাশে।
তবুও বলবো, চাঁদ তুমি দূরে বহু দূরে।
অপেক্ষারত এই আমি,
চেয়ে থাকি তিমির রজনী শেষে।।
রচনাকালঃ ১৪/১১/২০১৬, সোমবার।
রাত্রিঃ ১০:২০ মিনিট