তোমার কাছে সুখ হবে ভাই
একটু খানি সুখ?
যে সুখ পেলে হাসবে আবার
কিরনবালা'র মুখ।
কিরনবালা'র দুঃখ অনেক
দেখার তো কেউ নাই,
সুখের ঘরে লাগল আগুন
নিভলো হয়ে ছাই।
কিরনবালা'র মরল স্বামী
আজকে বছর বিশ,
অন্ধকারে ভূই চলে যায়।
আমিন বাজায় শিস!
দেবর হলো ভূইয়ের মালিক
কিরন পথের ঠাঁয়,
একটু খানি ভিটার প'রে
ক্ষুধায় পরাণ যায়!
দুঃখ সব-ই যায় উড়ে যায়
দেখলে ছেলের মুখ
বড় হয়ে ঘুচিঁয়ে দেবে
পালন করা দুখ!
গায়-গতরে খাটছে অনেক
তুলছে নাভিশ্বাস,
কষ্ট দেখে কাঁদছে কত
মাটির বোবা ঘাস।
কিরনবালা'র সেই ছেলে আজ
অনেক বড় লোক,
টাকার সাথে আটকে আছে
যেমন থাকে জোঁক।
লক্ষ্মীমতি বউটি যে তার
চাঁদের মত মুখ,
ঘরের কোনে আছড়ে পড়া
এক হিমালয় সুখ।
গেও কিরন অশিক্ষিত
তাইতো হলো পর,
কিরনবালা'র ঠাঁই ঠিকই সেই
হোগল পাতার ঘর।
(১৮ই আগষ্ট ২০১৪, সোমবার)