কতশত জনম পর ধরলা অববাহিকায়
পৃথিবীতে কত কল্প-মন্বতরে হয়তো এসেছি
জলেশ্বরীর তীরে যে বিধৌত ব্রহ্মপুত্র সঙ্গমে পরশুরামের তীর্থে। শ্রাবন মাস হয়তো জানে
কোনো জলাঙ্গীর ক্রন্দন কত গভীর ক্ষতে প্রাণ আত্মকে উঠে।কত কাক মরু খরায় বিসর্জন
দিয়ে প্রাণ।আমার সুফলা বাংলার মাটি,তিস্তার
করি দুগ্ধপান;কত মহাপ্রাণ দিয়েছে জীবন
বয়েছে স্রোতে রক্ত নদী ,তিতুমীর,বিবেকানন্দ,
ভবানী পাঠক,সূর্য সেন,অভয় বাঙ্গালী।জানি
সবার উপর আপন মাতৃভূমি তার লালনে
প্রতিপালিত আমি।শৈশবে তার কর্দম মাটিতে
কত করেছি তিলক চন্দন সেই মাটির আছে
ঘ্রান ফসল কাটার পর যখন ধানের নাড়া
থাকে।বট আর জিগার করুন মিনতি শোনেনি
কোনো পথিক কোনো কালে;ঋতুরাজের আগমনে শিমুল-মান্দার যৌবন পেয়েছে ফিরে।শতশত
শতাব্দী পর হয়তো এভাবেই ফের জন্ম হবে।