তোমার দেওয়া অন্ধকারে আঙ্গুল ডুবিয়ে রেখেছি
চাইলে তাবৎ জীবনটাই ডুবিয়ে রাখতে পারতাম
ডুবিয়ে রাখতে পারতাম ছয় থেকে একুশ
কিংবা একুশ থেকে ছয়_
এমন সব দিস্তার পর দিস্তা অলিখিত সময়।
আমি কখনও ভিজাতে পারিনি অমসৃণ লোমশ ঊরু:
চুমুর শীৎকারে, কামনাগ্রস্থ ঝুলন্ত লালায়
জড়াতে পারিনি নাতিদীর্ঘ আলজিভ
নতুন জিন্সের আনকোরা জিপারের মূর্খতায়।
আমার এ ব্যর্থতার দায়টুকু স্পষ্টতর না হলে
অনূঢ়ার অধরা স্তনের মতো ফর্সা
আমাদের নাতিদীর্ঘ প্রেম, অভিসার
তোমার মুখের এলাচির ঘ্রাণসমেত
আমৃত্যু অমীমাংসিতই থেকে যেতো।
অথচ, তুমি যে আমার মীমাংসিত কিছু
এমন দৈব কোনো দাবি করিনি কোনোদিন।
দৈনিক, সাপ্তাহিক বা পাক্ষিক স্ট্যাটাসে
ইমোজির অপ্রস্তুত ব্যবহারেও
কখনওই করিনি প্রচ্ছন্ন কোনো ইঙ্গিত।
তোমার স্কুল মাস্টার স্বামীর বুক পকেটে
খুনরাঙা জিভ ঢুকিয়ে চেখে দ্যাখো
আমার ফেনিল সরল ভাতের মতো প্রেম
কখনও তোমার আরাধ্য ছিলো কি না।
পল্লবী রাণী দেবনাথ,
তোমার দেওয়া অন্ধকারে আঙ্গুল ডুবিয়ে রেখেছি
তোমার দেওয়া ব্যথায় শুধু আঙ্গুলই ডুবতে পারে বলে।