দাদার বাইকে চেপে চলে গেলে
এদিকে, একা কুকিলের চোখ জুড়ে হাহাকার
বিদীর্ণ কন্ঠ বেয়ে ঝুলে পরেছে কুহু।
রহিমের দোকানের পিছে, খুপড়িতে
ভাঙ্গা কেক-এ নৈঃশব্দের বিষাদ,
ঠান্ডা পানীয়র বুকে বেদনার বুদবুদ।
আগন্তুক পিঁপড়েদের আনাগোনা
সহসা বেড়ে গেছে বাটারক্রিমে;
কালো মিষ্টিতে নির্বিবাদে পড়ে গেছে ছাতা।
সবিতা, পরাঙ্মুখ প্রেমের দিব্যি খেয়েছি
এছাড়া আর কিছুই খাইনি
তোমার উপমান চোখের দৃষ্টি খাইনি
খালি পেটে খাইনি কাঁচা রসুন, গরম জল
নেশার ঘোরে দেইনি সিগারেটে টান
একুশ দিন যাইনি পাহারে
অপ্রস্তুত হাতেও ছুঁইনি চোলাই মদ,
গণিকার নরম ঊরু, এলোচুল!
এই উপমেয় জীবনের ব্যথা তুমিও বুঝোনি
চরের পাখির কীভাবে কাটছে কাল?
কোন্ উনুনে ফুটছে হারানো ডিম?
দুর্গম মনোজাগতিক প্রাচীন জনপদের
শীর্ণ কোনো গলির মুখে দাঁড়িয়ে
ঠিক তুমিও পাবে না পথ; তুলে ধরা
উলঙ্গ তর্জনীর পাশে হৃদয়ঙ্গম হবে না দিশা।
তাই আর হাতের উপর হাতের স্পর্শ নয়
ঠোঁটের পাশে ঠোঁটের...
যেই দিন চলে গেলে, যেই দুঁপুর_
সেই দিন থেকে পেট্রোল পোড়া গন্ধও আরাধ্য আমার!