যে আমার কেউ নয় তাঁর জন্যে দাঁড়িয়ে থাকি
আমিতো পথের নেড়ি কুকুর নই_
যে দাঁড়িয়ে থেকে আবার হাঁটতে হাঁটতে চলে যাবো।
আমি হচ্ছি অভিমান!
নিদারুণ বাধ্য না হলে এগুই না।

যাঁর খোলা চুল থেকে ভেসে আসে সমুদ্রের ঘ্রাণ
আমি তাঁর কোনোরূপ আত্মীয় নই
তবু রোগ-শোক হলে আমাকেই করতে হয় শুশ্রুষা।
কভু অফিস থেকে বেরোতে লেট হলে
বখাটেদের আড্ডার দ্বারে করতে হয় অপেক্ষা।
অহেতুক পায়চারি করে ক্লান্ত হয়ে
বাধ্য হয়ে পান করতে হয় চা, তেরো টাকার নিকোটিন।
এ আমার পারিপার্ষিক কোনো দায়বদ্ধতা নয়,
অক্ষমতার অফিস-পাড়ায় পার্ট-টাইম চাকরি।

আমি কাউকে অনায়াশে বলে দিতে পারি_ না...
ডাস্টবিনে ফেলে আসতে দূর্গন্ধময় নেপকিন
কিংবা চিরুনির দাঁতে জট হয়ে লেগে থাকা চুল।
তবু আমি সেসবের কিছুই করি না, শুধু
শুকনো বকুলের ঝরে পড়া পাপড়ি হাতে দেখি
কীভাবে ক্যালেন্ডারের পাতায় নামে জল!
আরো দূর থেকে দূরে যেতে যেতে
সহসাই কাছে চলে আসি। পাশাপাশি নিরন্তর
হাঁটতে হাঁটতে হঠাত থেমে যাই,
তাঁর জন্যে নির্বিকার দাঁড়িয়ে থাকি
যে আমার কেউ নয়।