ছয় থেকে একুশ, কতো দিন হয়?
আমি ঠিক ততো দিন তোমায় দেখি না!
এগারো দিন!
হ্যাঁ, ঠিক ঠিক এগারো দিন-ই হবে
বাংলামোটরের জ্যামে আটকে থাকা বাসে
কেউ একজন ফিসফিসিয়ে বলেছিলো,
'এই পাগলি, কাঁদছিস কেন?'
এরপর থেকে সেই মসৃণ কন্ঠ আর কখনোই
প্রতিধ্বনিত হয়নি বাতাসে
কখনোই আর খোঁজে পাওয়া যায়নি তার উদভ্রান্ত অবয়ব --
কালো ধোঁয়ায়, ধুলিকণায়।
সেই অদেখা রোরুদ্যমানার কান্না সহসা থেমেছিলো কি না
গালের বালুচর শুষে নিয়েছিলো কি না অবাধ্য শোকাশ্রু,
এই পৃথিবী কখনোই জানবে না তার ইতিহাস
হবে না কখনোই এ অবোধ্য তত্ত্বের পাঠোদ্ধার।
বহুদিন আগের কোনো এক দূঁপুরে
দমকা বাতাসে উড়ে আসা
ছেঁড়া এক টুকরো বিবর্ণ কাগজের পিঠে
লেখা দেখেছিলুম,
'তুমি কেমন আছো, ভালো?'
তারপর থেকে বালিকার মাথার
উসকু-খুসকো চুলের মতো কাগজের টুকরোটি
কখনোই খোঁজে পায়নি কোনো সভ্যতার গলি
প্রত্যাশিত প্রতিত্তোরের দাবি নিয়ে যায়নি
কোনো কুমারী প্রেমিকার উঠুনে, নিস্পন্দ আঙিনায়।
সেই 'তুমি' কেমন 'তুমি' ছিলো?
কাছের না দূরের 'তুমি' ছিলো?
এর উত্তর এ পৃথিবী আর পাবে না কোথাও।
ছয় থেকে একুশ, কতো দিন হয়?
আমি ঠিক ততো দিন দেখি না তোমায়!