আমি যে সময়কে নিঃসংকোচে বুকে ধরে আছি
সে সময় আমার অনুকূলে নয়।
আঁতুরঘরেই বখে যাওয়া এ দুঃসময়
কখনো আমার আরাধ্য ছিলো না।
আজকাল আমার পকেটে বড়ো মন্দা
জামার হাতায় পড়ে গেছে হীনতার রঙ
দিনশেষে মানিব্যাগে বেড়ে গেছে
নিদারুণ দৈন্যতার উৎপাত!
যা কিছু প্রত্যাশিত নয়, তার রুগ্ন যৌবনে বাঁধা পড়ে
আজ অবধি করে যাচ্ছি কষ্টের সমেহন।
আর নয়, মনস্থির করেছি চলে যাবো
আমার সবটুকু পরিচিত গন্ডির বাইরে গিয়ে
পরিশুদ্ধ করে আনবো প্রতিকূল সময়।
বেদনা-বিধূর হৃদয়ে উদ্বেল অবয়ব একে
সামনের মৌসুমে ঘরে ফেরবো শহর-ফেরত মানুষ।
আমাকে আর ডেকো না সালিশে
কোনো আড্ডায় করো না নাম ধরে চিৎকার।
কর্ণকুহরে এমনিতেই ভরে আছে শব্দদূষণ
ওয়াড্রোবে, আলনায় উপচে পড়েছে অসুন্দর
আমাকে তবে কেন করবে আহ্বান ?
কেন যাচবে অসুন্দরে, অপমানে?
বরঞ্চ ডেকো না,
যে কঠিনের উপমা করেছি ললাটে ধারণ
সে প্রতিকূল সময়ের সুনির্ণিত ফলাফল
পকেটে পুরেই তবে ফিরবো।
ফুসফুসে নেবো নূতন ফসলের ঘ্রাণ
চোখের মনিতে আঁকবো সুঢৌল যুবতীর রূপ!
আমাকে হারাতে পারবে না দুঃসময়
করতে পারবে না আমার সুকরুণ সংহার।
আমি লাজহীন, ভয়হীনের মতো
অশ্রুজলে বান ভাসিয়ে তোমারই বুকে বৈঠা ঠেলবো।