// নবীন ঈশ্বর //
বন্ধ হয়ে গেলে ঐ শহরের জানালা,
দিব্যি ভুলে জেগে উঠি নিষেধের দুপুরে,
মাটির ধূসরে পুঁতে রাখা দৃষ্টি ফুঁড়ে,
আহ্লাদে উঠে আসে স্ফটিক জলের পৃথক নোনা।
উড়ালের যোগান নেই,
শব্দাঘাতে নির্ঘুম সময়ের বয়স বাড়ে।
ঘড়ির কাঁটা গুণে গুণে ঘুমিয়ে পড়লে দুপুরি কোলাহল;
সতর্ক পাহারায় আবার পাল্লা খোলে জানালার,
তখনি প্রাচীন এক নক্ষত্র নেমে আসে পুকুরস্নানে;
মাছরাঙা পাখিটি যাকে দেখে, ডেকে উঠে নবীন ঈশ্বর।
// রসিক আঘাত //
রসিক কুকুরদের মাঝে কি তুমুল উল্লাস ছিলো!
লাস্যমঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে সারি সারি সভ্য পশু-
অনায়াসে গিলে খেলো হাড় ভাঙ্গার শব্দগুলো,
ভুঁড়িওয়ালারা তখনো বসে ছিল দেবতার আসনে।
আর্তনাদ যখন; ভিড়ের দেয়াল পেরিয়ে বাতাসে মেশে,
আঘাতের সিঁড়ি বেয়ে তরতর করে নেমে আসে মধ্যযুগ।
আমরা তখন মুখোশের আবডালে তাকিয়ে দেখি;
কিভাবে কচি হাড়গুলো শিখে নেয় আঘাতের ধারন,
অর্ধশতক পেরুলে শরীরটা যায় মাছিদের দখলে!