মাথার উপর নগ্ন ক্যানভাসে থোকা থোকা
কিছু কদর্য মেঘ ছাড়া কি’বা আর ছিলো!
অদৃশ্য থেকে উঠে আসা,
অবাধ্য কিছু মেছোপ্রেমী ছায়ার জঞ্জাল-
দখলে নিয়েছিল জলজ বুকের সবটা উঠোন।
বিবর্ণ বালিয়াড়িতে নেই বলে গাঢ় সুষমা
এসে এসে ফিরে গেছে রাতপাখিরা।
সূর্যরাগে, তৃষ্ণা তাবৎ বুনে দিয়ে
কাঁচ নিরবে যখন কেটে যেত প্রতিটি মাতাল প্রহর,
পুরনো শ্যাওলাগুলো ক্রমশঃ ব্যথা হয়ে ফোঁটে-
বর্ষাভেলায় যখন ছুটে আসতো নীলের আবাদে,
তখন হঠাৎ জলকেলি বিকেল পেরিয়ে
কাম বাসনার মতো পুষে রাখা গোপন মায়ায়,
সেদিন কে যেন এসে সামনে দাঁড়ালো!
বিজন সন্ধ্যায় মুখ দেখিনি, দেখেছি কেবল
তার পায়ের নূপুরে ধূর্ত বাতাসের অদ্ভুত সমর্পণ
শরীর থেকে একে একে খসে পড়া অজস্র শব্দসুর,
অবাক বিস্ময়ে কিভাবে ফিরে আসে চঞ্চলতা
ছায়ার সুগন্ধ সেঁটে যায় রাতের সুবর্ণ অক্ষরে!
অবশেষে তার ফেরার পথে বলি,
হে মানবী, একবার ছুঁয়ে দিবে জলের আস্তর?
বেনামী হাসি গাঁথা ঠোঁট নেড়ে বলে,
ধুর বোকা! মেঘ কি কখনো বৃষ্টি ছুঁতে পারে!