আমি সত্যে বিশ্বাসী,
সত্যের সুন্দরে বিশ্বাসী,
সুন্দরের উদ্দেশ্যে বিশ্বাসী;
আমি সরলতার বিশুদ্ধতায় বিশ্বাসী।।

শুদ্ধতা-
সে তো কুহেলি পরিহিত বিমূঢ়তা,
তবুও সেই মাঁয়াজালে আছে এক অদ্ভুত সূক্ষ্মতা,
করে দিয়েছে আমায় এক প্রেম নিবেদিতা;
হৄদয়ে আন্দোলিত হয়ে চলছে আশ্চর্য শৈল্পিক আড়ষ্ঠতা,
অগত্যা ঘিরে আমায় ধরেছে ঈষৎ বিচলতা।।

তব বড়ই বিচিত্র,
এক উদ্ভট বেঁড়াজাল,
গড়ে তুলেছে আমার মনে বিকট ইন্দ্রজাল,
বেঁধে দিয়েছে শক্তপোক্ত প্রেমের এক জণ্ঞ্জাল।

প্রেম-
সে যে আমার পক্ষে বড়ই অদ্ভুত,
হৃদয়ঙ্গম করলে নিজেরও হয়ে যেতে হয় ভূত;
তবুও জানি, তবুও বুঝি-
ব্যকুলতা খুব যেন এক মারাত্মক ঝিঁঝি-
চায় সে তো হতে শিল্পপ্রেমীর আলিঙ্গনের কম্পিতা,
বত্ব নিজে জানেনাতো কোনো ভালোবাসার কবিতা,
শুধু ওষ্ঠ ফস্কে ফেঁটিয়ে চলছে যাচ্ছে নাতা!

ওগো প্রিয়তমাসু, কে যে তুমি?
আমার মনে বাজিয়ে ছেড়ে দিলে মোযার্টের অশনি,
জাঁগিয়ে তুললে রাত্রিকাশের তাঁরাসম জ্যায নোটের ঝাঁকুনি,
কতশত লয়ের সে এক মহাকাশীয় সিম্ফোনি!
তা বুঝে উঠতে বেগ যে আমার পেতে হচ্ছে ভারী।।

কিন্তু-
নাগাল যে আমার মোটেই হচ্ছেনা,
এ আমি কোন আমি,
ও সে জ্যাযীয় ক্যাকোফনী কোথাকার তুমি?
গেয়ে তব আমি চলছি-ফিরছি কান্ট্রিগানের প্রেমহরী,
এ অসুখে কেন পড়লাম আমি,
করছি আলিঙ্গন সহস্র প্রতিধ্বনি...
এ জাঁদু করবে আমায়,
কভু জানালে না তো গো তুমি;
হচ্ছি যে দায়-
সরলতা কি তবে হায়,
ইহাই তাহলে সত্য?
ধারণ ইহা আদৌ কি করে শিল্পের কামন্য?
মনঃচেতনার ভাষ্যমত্য-
সে উদ্দেশ্য খোঁজার ধাঁক্কা
               অদ্ভুত-অসরল-অবিশ্বাস্য;
হয়ত তা বর্তমানে বুঝে ওঠা সত্যিই অকাম্য।।