বৃষ্টিভেজা স্যাঁতসেঁতে রাস্তায়
আমি একা পথ চলি
মাথায় নাই ছাতা,
তাই মনে মনে বলি
কে দেবে আমায় সঙ্গ
করে তাহার সময় ভঙ্গ
এসেছি একা, যাবো একা
মধ্যেখানে শুধু শুধু হয়
আবেগপূর্ণ মানবীর সাথে দেখা।।।
নিষ্ঠুর পৃথিবীতে
কেউ কারো নয়,
স্বার্থের বদৌল্যতে
সবাই সবার হয়,
তাইতো অবুঝ মন
শুধু পায় ভয়,
সরলতার কারণে
কখন কাকে ভালোবেসে
কোন হানি হয়।।।
ভালোবাসলে নাকি
পেতে হয় ব্যাথ্যা,
সর্বলোকে কয়,
বুকে হাত দিয়ে সে কথা।।।
আসলে কী তাই?
শুধুই ভেবে যাই।
একসময় গভীর ভাবনায়
পরিপূর্ণ হয় মাথা।
নিষ্ঠুর পৃথিবীতে অলৌকিক
সকল বস্তুর সমারোহ
আর প্রেমিকের হৃদয় থাকে
সদা আবেগবহ।।।
হারানোর ভয়েতে আতংকিত সারাক্ষণ
প্রিয়তমার তরে নিবেদন করে রাখে,
সদা তাহার দেহ-মন।।।
আর তাই প্রেমিক কষ্ট পায়
একসময় প্রেমিকা হারিয়ে যায়,
গড়ে তার এক নতুন সংসার।
সন্তান স্বামীকে নিয়ে
গড়ে উঠে তার পরিবার।
নতুন এক উপাধি,
নতুন এক দায়িত্ব তার,
তাই নতুন করে পৃথিবীর সাথে
নামান্তর হয় প্রেমিকার।।। (স্ত্রী)
রয়ে যায় প্রেমিক তার নিজের যায়গায়
ভেতরের আকুল চাওয়া কাউকে সে বলিতে নাহি পায়।
সংসারের সবাই ভাবে তাকে দেবদাস
আসলে না!
প্রেমিক হয় জিন্দালাস।
তাইতো প্রেমিক ভাবে,
বৃষ্টি ভেজা স্যাঁতসেঁতে রাস্তায়
ব্যাকুলিত হয়ে সে বরাবরই প্রেমিকের ন্যায় হেঁটে যায়,
কারণ,
পেছনের সেই সুখগুলো তাকে
নরকের শান্তি মনে করায়।
আর তাই প্রেমিক বলে হায়
নিষ্ঠুর দুনিয়া, নিষ্ঠুর অবনী,
আগের মতো নাই আর
আমার মহারানী।।।
[কখনো যেন কারাে এমন না হয়]