দূরের আকাশ থেকে ভেসে আসছে শরতের মেঘমালা।
নদীর চরে সাদা কাশফুলের অবারিত বন
যেন অজস্র রাজহংসীর পালক শোভিত উদ্যান।
এইতো নদীর পাশেই সেই চন্দ্রমল্লিকা ;
যেখানে অবাধ্য এক কিশোর বিল্লো কাষ্ঠে হৃদয় পুড়িয়ে -
কিশোরীর ললাটে এঁকে ছিল শতজনমের তৈলচিত্র ।
টোল পড়া গালে খানিকটা অভিমানের সুরে কিশোরী বলেছিল - এটা অন্যায় !
প্রতিজ্ঞা করেছিলে কপালের সিঁদুর ধুবে !
দ্যাখো এখনো নদীর জলে সূর্য ডুবেনি ;
তোমার লাল ঠোঁটের কোনে ফোঁটা অভিমানে-
সূর্যটা দিচ্ছে সন্ধ্যা নামার অশিনী সংকেত !
গোধূলির ক্লান্ত আলোয় অবাক চোখ চেয়ে থাকে-
মেঘেদের সাথে করে মনের আড়ি ।
তুমি কি শুনতে পাও ?
জলরাশির বুক চিরে বৈঠার ছলৎ ছলৎ আওয়াজ তুলে-
মন মাঝি বয়ে চলছে স্বপ্ন বিকিকিনির হাটে ।
মহাকালের মন্দির থাকে ভেসে আসছে পরজন্মের ঘন্টা ধনি -
দ্যাখো পুরোনো বকুলের শাখে নীরবে তারার সাথে জোছনায় ভাসে।
নিশিতে শিমুল গাছে হুতুম পাখি গলা ছেড়ে -
কেমন করে ডাকে অসহ্য এক রাহুগ্রাসে !
এখন আর বাজছে নাতো একতারার ওই সরল তারে বৃষ্টি নামের কৃষ্ণচুড়া !
হয়তো তুমি আমি রাতের আকাশের খসে পড়ে তারার মতো নামবিহীন অন্যকেউ !
নয়তো কেন - সুশানার মতো চাঁদ-জোছনায় মহাকাল জেগে রই ?
প্রদীপ দাস
# স্মৃতির রোমন্থন #
৯ই সেপ্টেম্বর - ২০১৭