সামান্য এক সরল সমীকরণের ভুলে ;
ক্ষনকালের বিরতির পরে -
এখনও কি ভাঙনি তোমার মুহূর্তের অভিমান?
নৈঃস্বর্গের গাঢ় মগ্নতায় -
জ্যোৎস্না আর কতো আলো দিলে ভাঙবে এ অভিমান?
এতোই যদি অভিমান; তবে কেন -
এখনো শব্দহীন মধ্যাহ্নে আয়নার প্রতিবিম্বে আমাকে দেখ;
করো ধুপ ছায়ার স্বর্গোদ্যানে আমাকে নিয়ে লুকুচুরি খেলা;
প্রেমের অমৃত সংহিতায় খোঁজ করো -
আমার বিবর্ণ হওয়া যত সব অনুভূতি।
কেন ডাকো বুকের কর্নিশে -
শরীরির রসায়নে উত্তাল চুম্বকের সমমেরুর খেলায়।
কেন এখনও ডুবতে চাও ?
ঘুমহীন পোড়া চোখের আলিঙ্গনে;
চুপিসরে আসতে চাও-
বেলপুকুরের সিঁড়ির ধারে প্রথম রাতের ফিসফিস আলাপনে।
কেন নিশঃব্দে আমায় আঁচড় কাটো-
অশরীরি আত্মীয়র মত হিমেল।
কেন রঙিন চুমো আঁকতে চায় -
আজন্ম পাপের রক্তগোলাপ ঠোঁটে ;
দিতে চাও আবারও
তোমার বুকের অতল স্পর্শে
মোহ ধরা শ্বেতশুভ্র কাঠগোলাপের ঘ্রাণ।
তবে কেন এতো অভিমান?
এসো ভুলে যাও হিয়ার নিভৃত অন্তরালে -
লাগে থাকা মুহূর্তের মান-অভিমান
করি নীল জোসনার প্রেমেন্দ্র স্নান । ।
'মুহূর্তের অভিমান'
প্রদীপ দাস
১৭ই অগাস্ট , ঢাকা