ওগো সোনার বরণী,
কপালে সিন্দুর নিয়া সেজেছো সুন্দরী রমণী।
রাঙা তোমার চরণ দুটি, রাঙা তোমার গাল
হৃদয় হরণী অনন্ত যৌবনা তুমি অনন্ত কাল।
হস্তে তোমার শঙ্খচূড়ি, কর্ণে স্বর্ণ দুল
কেশবনে তোমার ফুটেছে যেন স্বর্ণ কুন্ত ফুল
শাড়ী পরে তুমি এসেছো হেথায় মাতৃ জননী রুপে
দেওনি তো দেখা কখনো তুমি গাঢ়তম নিশ্চুপে
চোখ দুটির ঐ কালো কাজলে কলো মেঘে গেছে ঢেকে
চঞ্চল মন আজি বিরহে কাতর প্রেমেরপরশ মেখে
প্রভাতে, তোমার ছোয়ায় যেন পুষ্পরাজ ফোটে
পরন্ত বিকেলে শাখে-শাখে পাখি, ঘরে ফিরে ছুটে।
একাধারে এসে যাও তুমি বারেবার,
তাই তো হৃদয় দিয়েছি সপে, তোমাতেই একাকার।
গগনে বরষার ঝিলিক এসেছে অল্প ক্ষণে,
স্বপ্ন ওঠেছে হেসে, উদগ্বীপ্ত হইছে মনে।
চারিদিকে ধেয়ে যায়, অশান্ত কালো আধার
আজি যেন মনে হয়, খুলেছে বিরহ দ্বার।
অঝরে ঝরেছে মেঘ গগনের কিনারা থেকে
ফটন্ত পুষ্প নুয়ে পরে যায়, থাকিতে পারে না শাখে
এখনো কলি ফুটে নি বলে দ্বার খুলে তারে দেখি
আশায় বসেছি পথে কখন যে আসিবে সখি।
ঐ হিজল গাছের শাখে শাখে আজি ফুটেছে কচি ভ্রূণ,
তারে দিকে পলকে দেখে চোখ যে জুড়ায় কিছুক্ষণ।
দেখিতে দেখিতে কেটে গেল কত দিন, কত মাস,
দিন ফুড়িয়ে রাত যে এল হয়নি তবু ত্রাস।
বসে আছি হেথায় তোমার মর্মের বাণী শুনে,
এসে চলে যাও তুমি দেও দেখা বিদায়ের আয়োজনে।
বিদায় ঘনিয়ে এসেছে আজি বৃক্ষের অবডালে,
আঁখিতে ভরিছে জল কাঁদিছে এ মন আড়ালে।
তোমায় তো বেসেছি ভালো ওগো সোনার বারণী
তুমিই তো মোর জগৎ বিধাতা এ জীবনের ধরনী।।