বিচিত্র সুখের অম্বেষণে,
মানুষ মরিছে ক্ষণে ক্ষণে।
সূক্ষদৃষ্টি সুচতুর নয়নে,
কর্মহিনে দিবা রাত্রি বসে গৃহকোণে--
ঈশ্বরের প্রবঞ্চনায় মর্ত তারা,
কুশাঙ্কুর বুদ্ধি শাণিত প্রখরা।
মিথ্যা লোকে বিশ্ববাসী,
অন্ধ কুপনে অন্ধ বিশ্বাসী।
মস্তিষ্কে তাদের জ্ঞানের অভাব,
যায় না কখনো বিজ্ঞতার স্বভাব।
অমৃত পিপাসা মুখেতে লাগি,
ক্ষণিকে মৃত্যুক্ষুধা উঠেছে জাগি।
কোটি-কোটি জীবে করিছে হানা,
হিংস্র হায়েনা যেন তার দেহখানা।
স্বমুখে সন্ধ্যার কিরণ আধারি কালো,
মিশ্রিত মর্মরবৎ অগ্নিদ্বব্ধ আলো।
বৃহৎ ভুবনে তাহার অবলীলা,
কখনো হাসে কখনো কাঁদে-----
       আবার  কখনো করে খেলা।
পরে যবে পক্বশীর্ষ স্বর্ণক্ষেত্র পরে
সমস্ত মর্ত ভির্তাত হয়ে যেন, কাঁপে বায়ুভরে।
হঠাৎ তাহার মনে জেগে ওঠে মহাব্যকুলতা,
অভিসারে জাগে তার মহানুভবতা।