ধংস হয়ে যাক সব সাম্রাজ্যবাদ
-রবিউল প্রধান
সকালে শুধু ঘুম থেকে জেগে উঠলেই
বুঝি আমরা বেচে আছি
দুচোখ মেঝেতে বুজলেই
বুঝি আমরা সুখে আছি,
এভাবে বলতে বলতে আর ভালোলাগেনা,
মাঝে মাঝে মনে হয়--
এ পৃথিবীটাকে তুলে আছাড় মারি
ধংস হয়ে যাক সব সাম্রাজ্যবাদ
ধ্বংস স্তুপে পরিনত হউক পশ্চিমা অহংকার
ভোতা হয়ে যাক শোষনের হাতিয়ার;
তারপর-ওই ধংসাওস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে
আঙুল তুলে ইচ্ছামত বলি: ওই-
দখলদার রাশিয়া, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া,
ফ্যাসিবাদী ইউরোপ, আমেরিকা
এই পৃথিবী কি তোর বাপের!
কিসের পাসপোর্ট কিসের ভিসা
জন্মের পর সকল মা'ই বলেছে- "তোকে এ পৃথিবী তে এনেছি,
এ পৃথিবীর আলো বাতাসের মুখ দেখিয়েছি"
কখনো কি তোর মা' বলেছে --
তোকে আমেরিকা কিংবা কানাডায় এনেছি,
আমেরিকার আলো বাতাসের মুখ দেখিয়েছি?
তোরা জেনে রাখ --
এ পৃথিবী ঈশরের
আমি ঈশ্বরের অনুমতি নিয়েই
এ পৃথিবীতে এসেছি,
সারা পৃথিবী ঘুরে দেখা আমার জন্মগত অধিকার।
যেখানে মন চায় সেখানে যাব
যেখানে ইচ্ছা সেখানে থাকবো
যত ভেদাভেদ করেছিস তোরা
জোর করে এ পৃথিবী কে করেছিস দখল
দারিদ্রতাকে করেসিস পুজি
দরিদ্র মানুষকে করেছিস অর্থ কামাইয়ের হাতিয়ার।
আমি এখন সারা পৃথিবী ঘুরে ঘুরে দেখবো
বিশবের সবচেয়ে বেশি গরীব মানুষের দেশে গিয়ে স্ট্যাচু অব ইউনিটি তে উঠে বলব,
জানো ১২০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ত করিস তোরা
তোদের এত গরীব বানিয়েছে কারা
মাওসেতুং এর দেশে গিয়ে বলব,
জানিস ১৪০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করিস তোরা
তোদের এত শ্রমিক বানিয়েছে কারা, তারপর সারা আফ্রিকা চষে চষে বেড়াবো আর বলবো-
তোদের এত ভুকানাঙা বানিয়েছে কারা।
৫০ বছর পরে এ পৃথিবীর অর্ধেক মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবি তোরা।
এর পর জাতিসংঘ এর সামনে গিয়ে
বিরাট এক জন সভার আয়োজন করবো
সব নভেল বিজয়ীরা হবেন আমার দর্ষক
তাঁদের উদ্দেশ্যে আমি বলবো,
আমি এ পৃথিবীর হিসসা চাই--
এরপর স্ট্যাচু অব লিবার্টি তে উঠে
এক টানে শাটের বোতাম খুলে
বুকের পাট্টা বের করে বলবো---
সাবাস বাংলাদেশ!, সাবাস! বাংলাদেশি!
প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১১২৫ জনকে
আশ্রয় দিয়ে মানবতার দাদিদার এখন করতে পারিস শুধু তোরা,
তারপর ৭ শ কোটি মানুষের উদ্দেশ্য বলবো
এই পৃথিবী ঈশরের-
তোরা এই পৃথিবীর সমান হিসসা চা।
প্রতি বর্গকিলোমিটার মাত্র এক দুই কিংবা তিন চার জনকে আশ্রয় দিয়ে
মানবতার পতাকা খুবলে খাচ্ছে শুধু ওই ওরা।