হে বসুন্ধরা, ধন্য আমি জন্মে তোমারই কোলে
একই প্রাণের ভিন্ন ভিন্ন রূপ এসেছে এ ধরিত্রী তলে|
চোখ ফুটতেই প্রথম দেখেছি নিজ মাতৃরূপ
ধীরে ধীরে গোচরে এসেছে তোমার বিশ্বরূপ|
তোমারই ভূমিতে হয়েছি বড় জল কাদা মাটি মেখে
অবাক নয়নে চেয়ে থেকেছি ঝিকি মিকি তারার দিকে|
চেহারায় তুমি বর্ণময় কোথাও আঁধার তো কোথাও আলো
কি বিচিত্র তোমার লীলাভূমি ভাবতেও লাগে ভালো|
প্রাণকে দিয়েছো বাঁচার জন্য আলো, বাতাস জল
চাক্ষুস করেছি তোমারই আকাশে রামধনুর ঢল|
ব্রম্ভান্ডে তুমি ঘুরে চলেছো সর্বদাই নিজ গতিতে
বাঁচার সকল রসদ ই দিয়েছো যা ছিল তোমার ঝুলিতে|
নিজে ঘুরলেও আমাদের রেখেছো তোমারই মাঝে স্থির
কি নিয়মে চলেছে এসব তা জানতে মন হয় খুব অস্থির|
আগ্রহ বশে তোমাকে জানতে মহাকাশ যান ছোটে
সৃষ্টির রহস্য উদ্ঘাটনে যদি কোনো তথ্য জোটে|
এটুকু বুঝেছি তুমি না থাকলে হতো না আমাদের আসা
থাকবে অটুট তোমার প্রতি আমাদের ভালোবাসা ||