অচল মানুষ, থেমে থাকা দিন,
নৈঃশব্দ্যের অলিখিত ধ্বনি, গাঢ়ে ঢাকে চিন।
পায়ে শিকল, মনেও বেড়া,
দিগন্তহীন প্রান্তরে যেন শূন্যতা ঘেরা।


স্বপ্নগুলো নীরব হয়ে, বিস্মৃত শেষে,
চৈতন্যহারা কেউ যেন অতীত খোঁজে।
চলতে চায়, পথটা চেনা,
তবু পায়ের নিচে কিছু বাধা আঁকড়ে দেয় কেনা।


আলো জ্বালাবো বলে, মুঠো ভরেছি আঁধারে,
অনুভবের আকাশে শুধু ঝরেছে রোদ্দুরের কুদারে।
কখনো ভুল, কখনো অচেনা ভয়ে,
যাপিত জীবনের গল্প যেন শুধুই পরিচয়ে,


তবু থামো না, করো স্বপ্নের ডাক,
অচল মানুষ বলে নয় তীব্রতা রাখ।
পায়ে জড়িত কল্পিত শিকল সরিয়ে,
নিজের ভেতর লুকানো আগুন জ্বালিয়ে।


তুমি তো বাতাসের মতো, মুক্তির পাখি,
জীবনের রঙ ফেরাও, হতে হবে আলোর সাক্ষী।
অচল মানুষ বলে যে থামে না চলা,
ভেঙে দাও এই অবরোধ, ধরো এবার নতুনের পালা।