লঙ্কা, এক নামে কত রূপ ধরে আসে,
স্বপ্নের দ্বীপ যেন সাগরের পাশে।
সুবর্ণ সৈকত, নীল ঢেউয়ের নাচন,
রূপকথার রাজ্যে যেন কালের শাসন।
লঙ্কা, সে তো রাবণের অট্টহাসি,
সীতাহরণ, বীরত্বের ইতিহাস রাশি।
রামায়ণের পাতায় লেখা রক্ত ঝরা যুদ্ধ,
এক লঙ্কাপুরীর উত্থান ও অবরুদ্ধ।
আবার লঙ্কা মানে ঝাঁঝালো আগুন,
ছোট্ট শরীর তার, তেজে ভরা ফাগুন।
রান্নার হাঁড়িতে তার রক্তিম আভা,
স্বাদ জাগানো রন্ধনে তার স্থানিক চাওয়া।
কেউ বলে লঙ্কা মানে স্বর্ণের দেশ,
ঐশ্বর্য্য আর প্রাচুর্যের অবশেষ।
আবার কারো মনে সে তো তীব্র দহন,
ছোট্ট দানাতে যেন লুকানো মরণ।
বাল্মীকির কাব্যে সে এক বিস্ময় ভূমি,
আলো আর আঁধারের এক জটিল প্রণামী।
কিংবা রান্নার ঘরে সবজির সম্ভার,
যেখানে লঙ্কা দেয় স্বাদের বাহার।
লঙ্কা – শুধু একটি শব্দ নয় তো আর,
স্মৃতির ঝাঁপি খুলে দেয় বারংবার।
ইতিহাসের পাতায় লেখা নামখানি,
আবার জিভে জ্বালা ধরায় অবধানী।