হালকা জিনিস আগে পড়ে? নাকি আগে ভারী?
এই চিন্তা নিল আমার রাতের ঘুম কাড়ি!
তাই ছুটলাম ইশকুলে আজ, ফিজিক্স স্যারের ক্লাস,
প্রশ্ন শুনে স্যার যে তখন দিলেন ঝেড়ে কাশ!
বলছি সবই, আগে তো তুই ঠাণ্ডা মাথায় শোন।
এই প্রশ্নে ভাবিত অ্যারিস্টোটলের মন:
"ভারী আগে, হালকা পরে" - এটাই নিয়ম।
অনেক পরে এলেন আরেক জ্ঞানী-গুণী
নাম গ্যালিলিও, তা সবাই আমরা জানি
লোকে বলে "পিসা"র ঐ হেলানো টাওয়ার
ঘটল সেখানে গ্যালিলিওর অদ্ভুত কারবার।
ফেলেন তিনি সমান কিন্তু ভিন্ন ভরের বল
মাটিতে একসাথে পড়ে- এই তার ফল
কিন্তু সত্যি জানবে যদি আমার কথা শোন:
ঐ ঘটনা কিংবদন্তি, সন্দেহ নাই কোনো।
আসলে তিনি- গ্যালিলিও ভিন্ন পরীক্ষা করান
হেলানো তলে বস্তু তিনি মুক্তভাবে গড়ান।
খেয়াল করে গ্যালিলিও "জোয়ান চোখে" দেখেন
পালকগোজা কলম দিয়ে মনের সুখে লেখেন
বলি আগে, তার কাছে স্টপওয়াচ না ছিল,
পেন্ডুলাম ঘড়িই তাঁর সকল সহায় ছিল।
প্রথম ক্লিকে যদ্দুর পথ গড়ায় ঐ বল,
২য় ক্লিকে তিন গুণ যায়, এই ছিল ফল।
৩য় আর ৪র্থ ক্লিকে, ১ম দুরত্বের,
৫ আর ৭ গুণ যাবে - নাই হেরফের
১, ৩, ৫, ৭... বিজোড় সংখ্যার প্যাটার্ন
দাঁড়াও ও ভাই, গণিত দেখে নিওনা ইউ টার্ন!
১ থেকে শুরু করে বিজোড় n সংখ্যক,
হবে n স্কয়ার যদি করে দেখ যোগ!
পতনের পেছনে গণিত, এ কি সাংঘাতিক!
"সিদ্ধান্ত: দূরত্ব সময়ের বর্গের সমানুপাতিক"
সব বল গড়িয়ে তিনি একই ফল পান
ভরের সাথে দূরত্বের সম্পর্ক না পান
গ্যালিলিও - যার মন কখনো না দমে,
বোঝেন, হেলানো তলে ত্বরণ কিছু কমে।
মুক্তভাবে পড়ন্ত বস্তুর নির্দিষ্ট ত্বরণ থাকে
অভিকর্ষজ ত্বরণ বা g বলে যা-কে!
মুক্ত কিছু পড়ে না ভাই, আছে বাতাসের বাধা
তাই পড়েনা একই সাথে: পয়সা আর ঐ পাতা
বহু বলেছি, আজ তাই মাথা করে ঝিনঝিন!
অনেক কথা আছে বাকি আরো, বলব আরেক দিন!