এক যে সময় ছিলাম ছোটো
ছিলাম অনেক ভালো।
সাদাটাকেই সাদা বলতাম,
কালোটাকে কালো।
এক কালেতে বিকট দুপুর
ঘনিয়ে এলে পরে,
ঘুরে বেড়াতুম শুকনো পুকুর,
টিকতো না মন ঘরে।
মাথার উপরে বিশাল আকাশ,
পায়ের তলে মাটি।
গ্রামটার ঐ স্নিগ্ধ বাতাস
আমার মনের ঘাটি।
পাড়া বেড়াতুম মাঝেমাঝে
শান্ত ধীরে হেঁটে।
শুনতে পেতাম সকাল সাঁঝে
খবর যত মিছে।
পড়শিদের এক মুরগি ছিল
বনবিড়ালে খায়।
দুঃখে তাদের ছেলে উপোস
বোঝায় কত মায়!
মাঠপাড়ার এক ভদ্রলোকে
হাঁটতে বেরোন ভোরে।
খামচে তারে হাসপাতালে
পাঠায় শিয়াল দলে।
সন্ধ্যায় অনেক পড়াশোনা
দুপুরে খেলার পালা।
মায়ের কোলে বালিশ রেখে
করে বেড়াতুম খেলা।
একদিন তাই দুপুর বেলায়
কুকুর দিল তাড়া,
দৌঁড়ে আমি বকুলতলায়
হাতে নিলাম ডালা।
ডালার ভয়ে কুকুর এবার
দিল বেজায় ছুট।
কুকুর ভুলে বকুল কুড়াই
ভরে হাতের মুঠ।
এই ছিল মোর দুপুরবেলার
রোজকার কাজগুলি।
এখন কিন্তু এসব অসার
স্মৃতির পাতায় মেলি।