একদিন আমার ভুতের সাথে দেখা,
থরথরিয়ে কাঁপি আমি ভয়ে।
বুক ধুক ধুক, ঘোরে আমার মাথা,
"ক্ষান্ত দিন", আমি বলি সবিনয়ে।

এ কথাতে ভুতের অট্টহাসি
বলে, "দাঁড়া, বেশ করে হাসি।"
"হা হা হা" - ভুতের হাসির তোড়ে,
বন বন করে আমার মাথা ঘোরে।

হঠাৎ ভুত আমার হাত ধরল চেপে,
ঠাণ্ডা অনেক, শরীর উঠল কেঁপে।
"মাফ চাই" - এ অনুনয় শোনাই,
চেঁচাই, "আমি ২৫ বছর বাঁচতে চাই।"

জানতে চায় ও, খুবই অবাক যেন,
"মাত্র ২৫? এমন কথা কেন?"
"জানেন না?", বলি আমি হেসে,
"পঁচিশের পর সবাই যে যায় ফেঁসে।"

"বয়স কম, তবুও মনে ভয়,
চাকরি খুঁজতে স্যান্ডেল হয় ক্ষয়।
ভয় হয়, গুড়গুড় করে পেটে,
বুয়েট যদি সুড়সুড় যায় ছুটে?

২৫ এর পর অনেক কিছুই হয়,
ওসব নাকি অত সোজা নয়।
সেই সময়ে বিপদ অনেক বেশি,
ছোট তবু ভাবি দিবানিশি।

সে সময় ভুতটা চুপ করে থাকে
ঠান্ডা হাতে আমায় ধরে রাখে।
"দেখছি তোমায় ছেড়ে দিতেই হয,
তোমার কথায় আমার যে দয়া হয়।"

আমি খুশিতে বলি-

"তোমায় দেবো তরতাজা ফুল বেলি
ভুতের সাথে আজ করবো গলাগলি।
বলি ভুতো তুমিই মানুষ বটে,
বেহুদা মানুষ খুঁজি, মানুষের স্রোতে।"

সুধাই, "তুমি ভূত হলে কোন পাপে?
প্রেত-পিশাচ নাকি ডাইনির অভিশাপে?"
শুনে ভূতো অনেক জোরে হাসে,
কলিজাটা শুকোয় যে পিপাসে।

[… … …]