নদী; তুই এমন ছুটিস যদি,
তোর ওপরে নারাজ আমি, বলব না কিচ্ছুটি।
জন্ম থেকে ছুটিস খালি-
বোস না দুই দন্ড।
মনের কথা ভাগ করে নিই, প্রাণ ফিরে পাক ছন্দ।
নদী বলে অবুঝ ওরে- কেন বুঝিস না,
আমার যে কাজই কেবল বয়ে চলা,
আমার গতিই আমার প্রথম পরিচয়, আমার অন্যতম পরিচয়- সর্বশেষ পরিচয়।
তবে তোর কথার টানে বলিস যদি,
আমার স্রোতের ধারারে একটু ক্ষান্ত করি,
যাওয়ার পথে ভাগ করি চল,
কিছু মনের কথা।
ভাগ করি চল দুটি মনের সকল ব্যাকুলতা।
নদী তোমার ইচ্ছে করে চাঁদের জোছনায় ভেসে ভেসে
রূপকথার গল্প শুনতে?
নদী বলে, চাঁদের আলো আমার স্রোতে ভেসে ভেসে গল্প বলে যায়।
নদী এবার শুধোয় আমায়, তোর কি ইচ্ছে করে?
আমার সাথে ভেসে যেতে নতুন দেশের তরে-
আমি বলি- বড্ড করে,
কিন্তু; কি করি
পায়ে যে আমারও আছে আমার কাজের বেরি।
আজ তোমার সাথে কথা বলে মনে ভরলো না যে ভাই।
কাল তোমার এই সময়ে আবার আসা চাই।
বলল নদী, বেশ তো, তাতে ক্ষতি কি-
বলব না হয় আবার কথা, চলব না হয় ধীরে,
গাঁথতে মালা তোর সাথে রোজ আসব আবার ফিরে।