একটা ঘরে বন্দী হয়ে আছি।
ভীষণ অন্ধকার এ ঘর,
যতোটা হয় মাটির নিচে।
ভীষণ শীতল চারপাশ ঘিরে,
ঠিক যেন হাসপাতালের লাশঘর।
আমার ঘরটাই না এতো নিশ্চুপ।
যেন মৃত্যুপুরীর নিস্তব্ধতা এসে
গ্রাস করে নিয়েছে পুরোটা।

অথচ দেখো?
বাইরে কি সুন্দর রৌদ্রজ্বল দিন?
কতো আনন্দ!
কতো উচ্ছ্বাস!
প্রকৃতির রূপ রঙ গন্ধ,
সবটুকুই যেন ছুঁয়ে যাচ্ছে সবার হৃদয়।
ঘরের বাইরে মুখরিত হয়ে আছে
মানুষের পদচারণায়।
অট্টহাসির শব্দ ছাপিয়ে যায়
বাকি সব শব্দের তরঙ্গকে।


কিন্তু আমার ঘরে?
মন খারাপ আর অশুভদের দল,
সব একত্র হয়ে বসতি গড়ে প্রতিনিয়ত।
মুক্তির আশায় আমি ছটফট করছি।
দরজায় আঘাত করছি।
চিৎকার করছি।
"সাহায্য করো আমায়"?
কেউ দেখো!
নিয়ে যাও আমায় এখান থেকে।
মুক্ত করো আমায়!
কই?কেউ তো ফিরে চাইলো না!
কেউ শুনলো না।
কেউ দেখলো না।
আমি আর পারছিনা।
আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছি।


হটাৎ!
ওই যে ফিরে তাকালো
একজন কি দু'জন।
এরপর আরো অনেকেই।
লক্ষ্য করলো আমাকে।
কাছে এসে দাঁড়ালো
ঘরের ঘোলাটে জানালার।
আমার মন নেচে উঠলো।
এই বুঝি ঘুচলো আমার বন্দীদশা?
আমিও তবে পাবো মুক্তির স্বাদ!
কিন্তু কই!
তারা তো সাহায্য করতে আসছে না আমায়!
তারা বিশ্লেষণ করছে আমায় নিয়ে।
আফসোস করছে।
উপদেশ দিচ্ছে।
কিন্তু দরজা ভেঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেনা আমায়।


আমি আবারও আশাহত হই।
আবারো নিস্তেজ হতে থাকে আমার শরীর।
আমার মন।
ধীরে ধীরে আমিও অভ্যস্ত হই।
আমিও বসতি স্থাপন করি এই ঘরে।
মন খারাপ আর অশুভদের দলের সাথে।
শীতল, নিস্তব্ধ,অন্ধকার ঘরে।
এটাই আমার ঘর।