তোরা কবি ! ছিঃ …
আজী ধিক্কার যানাই তোদের পাণে,
কবি বোলে নিজেরে লূকাশ শীর্ণ ঘরের কোণে!
তোরা লিখিস জীবন-কর্ম ইতিহাস যাঁহাদের
ঐ মাঝি মাল্লাড় পাণে দেখিয়াছি সন্ধান জীবনের ।
খুঁজেছি পাগলের মত সাহিত্য রাজ্যে কত ,
মানবতা- মহত্ত্ব জীবনের স্বাদ পাইনি’ত আমি ওত ।
তোমরা বল আমরা সবাই দেশের কাণ্ডারী
মিথ্যা সবি, ধিক্কার দেই তোরা সমবেত আনাড়ি ।
আমি পশু বলে লিখছি কবিতা-গল্প-গান ,
নইলে মাঝি-মাল্লার দলে দেখা যেত মম প্রাণ ।
আমি শয়তান,আমি ভীরু, আমি কাপুরুষ সৈনিক,
হয়তো’বা আমি জারজ কোনো পথ ভোলা জননীর ?
আমি তাঁহাদের গান গাই…
মোদের দলিয়া ঊর্ধে চাহিয়া যাঁরা জীবন করেছে ছাই,
আজি তাঁহাদের পদে আমারই হস্তে বন্দনা রোচে যাই ।
মিছিলে যাঁরা অগ্রে থাকিয়া পথ দেখাতে যেয়ে,
ওয়ারিশ যিনি,বেওয়ারিশ হয়ে লাশের ঘড়েতে শুয়ে ।
আমি দেখেছি জীবন, দেখেছি স্বপ্ন তাঁদের চোখে
মাজ দরিয়ার মাঝি হয়ে ফিরেনি পুনঃ যে বাটে ।
দেখেছি কাব্য ,দেখেছি সংগ্রাম তাঁদের পানে
ঐ যে নবীন নব পথে হাটে অচিন সন্ধানে ।
আমি তাঁহাদের গাণ গাই কণ্ঠ ছাড়িয়া আজি
যাঁরা কবি নয়,কর্মী হয়ে সমাজ দিয়াছে ছাড়ি ।
কবিদের গালে মারি জুতা…
যারা পণ্ডিত-বড় ভাব নিয়ে,সমাজটা করেছে ভোঁতা ।
( সংক্ষেপিত)