বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’এর জীবনী চতুরদশপদি কবিতায় রচিত হচ্ছে,যার কিছু অংশ এখানে প্রকশ করা হল । বই’টির নাম ‘BIRTH To Death’ । বইটিতে অনুমানিক ১০,০০০ লাইন থাকবে ।। প্রতি বৃহস্পতি বার ৫০ লাইন করে প্রকাশ হচ্ছে ।   বাকি অংশ ০১/০৮/১৩তে প্রকাশিত হবে।  আমিন … ..(পৃথিবী )
‘BIRTH
TO
DEATH’
প্রথম অধ্যায় ((চতুর্থ ৫০লাইন)
চৈত্রের দুপুর বারান্দায় খোকা খাচ্ছে_
এক ভিক্ষু এসে কহিল’ “কটা ভাত দে
দু’দিন হইছে কিছু খাইনি ক’বাবা,
পেতের পিরায় ঘুরিতেছি বাড়ি বাড়ি
দুগা ভাত দিবি বাবা অনুনয় করি?
নিজের প্লেটটা দিয়া কহিল,“শোনেন
এটা ধরেন, আমি দেখি আর কি ঘরে।”
শীর্ণ- ক্ষুধার্ত বৃদ্ধা হাত বসালো থালে।
ছোট ছেলে তাহার পানে রয়েছে চাহি ।
কত না জানি মানুষ আজি  অনাহারে ।
পথ প্রদর্শক নিজ মাতা এসে কয়_
দ্যাখ দেখি কাণ্ড এমন টা নাকি হয়
খালা এই পাগলারে দোয়া করে যেও,
যত তুমি খেতে পার ভাল করে খেও ।
কাপড় লাগলে নিয়ে যেও আছে কত
তোমাদের পোলায় আনছে শত শত ।
আমি যাহা খেতে পারি তাহা উনি খাবে
এমন হয়না কেন মা  জগৎ মাঝারে?
আমি খাবো ডাল ভাত অন্য খাবে বাসি
এমন হবার আগে গলে দেব ফাঁসি ।
হেঁসে হেঁসে কয় মা,“ওরে আমার সোনা
তারা তারি খেয়ে তুমি ঘুমাতে আসনা।”
বলিল খোকা, “এখন ঘুমাব না আমি,
জানিতে হইবে কত জগতের বানী।”

নিষ্পাপ মুজিবের অঘটন ঘটিল
বেরিবেরি রোগে আঁখি আক্রান্ত হইল ।
জগতে যতই সাধুজন এলোগেলো
ছোটখাটো রোগে- শোঁকে পাইয়া বসিত ।
ইস্টিফেন হকিং দ্যাখো কত জ্ঞানী জন
মহাত্না-নজরুলও পায়নি ক’মাপ ।
সে, ইতিহাস জয়ী হবে পূর্ব লক্ষণ
তাই বুঝি এই রোগে হইল জখম।
অল্প বয়সেই দ্যাখ পেলে কত সাঁজা
কে জানিত এই হবে পৃথিবীর রাজা !
কলকাতার  ডাক্তার বিজ্ঞ ঘানী গুণী
কহিল,“এ যে চোখে বেরিবেরির ছানি
অন্ধ হয়ে যাবে । তবে ভয় কিছু নাই
প্রান রক্ষা পাইতে পারে চেষ্টা করি তাই।”
হায় হায় বলে খোকা অন্ধ হয়ে যাবে
দেখবে না চোখে আর ধরণী জুড়ায়ে !!
বাবা-মা খোদার দ্বারে কহিল স্মরিয়া_
“মোদের নয়ন নিয়া দাওগো ফিরায়া
অবুঝ শিশুকে আল্লাহ্‌ দিওনা কষ্ট
মোদের পাপে ওর চোখ কোর’না নষ্ট।”
দিন যত গত হয় ছানি অবনত
কেউত পারেনা সারাতে চোখের ক্ষত ।
সারা জীবনের সঞ্চিত ধন কে নিবি
কে দিবি ফিরায়ে আলো আমার পোলারে?
মসজিদ-মন্দিরে কত করিল দোয়া
কত অচেনা কাঁদিল নিরব স্বরে ।

অতল গগন মহাকাশ খুঁজে ফিরি
মিলিল সাক্ষাত ডাঃটি.আহমদ । “কিরে?
কিছু হয় তোর” বলিয়া আলিঙ্গনে,
“ভাল হয়ে যাবি তুই বাদে কয়দিন।”
জীবনের শিক্ষা সেদিন পাইল খোকা_
ঐ বিজ্ঞ সেবক দ্বারে । কিভাবে  মুমূর্ষু
কত যে সহজে আপন হইতে পারে ।
সে কঠিন চিকিৎসা সহজ করে দিল
আবার মুজিব ভাল হতে থাকে । শর্ত
শুধু এই, একটি চশমা পরিলেই
ভাল হয়ে যাবে এই দুষ্টু ছোট খোকা ।
সে চশমা, আর খোলে নি’ক কোন দিন।