পাঞ্জেরীর চরিত্র
-পৃথিবী
সুন্দরি কলেজ ছাত্রীর ধর্ষিত দেহ ঝুলিয়ে দিল তারে
উপস্থিত সকলে বলিল মিডিয়ায় বি.এস.এফ-এ কাজ করে।
টিভির পর্দায় ব্রেকিং নিইউস জখনি পরিল চোখে,
চৌদ্দ কোটি বাঙ্গালীর রক্ত আগ্নেয়গিরি হয়ে উঠিল ফুটে।
মিছিল বেরুলো,মিটিং চলিল,টক’শতে কানাকানি,
কত যে কবি লিখিল পদ্য,গদ্যে ভাসিল দুঃখীর রোনাজারি ।
কেউ বলিল,সম্পর্ক সব যত আছে করি আজি ছেদ
কেউ বলিল,তুলে নাও অস্ত্র।” নানা গুণীর নানা ভেদ ।
দুখিনী মায়ের কষ্টের কথা কে আর বুঝিতে পারে?
স্বয়ং প্রাধানমন্ত্রী টাট্রু ঘোড়ায় চলিল মায়ের দ্বারে ।
কেউ দিল শোক বানী কেউ দিল টাকা
অসহায় মায়ের নিঃস্ব বুকে কে ধরাবে অগ্নিসিখা?
স্বাধীন বাংলার পরাধীন জ্ঞানী, ডাকিলেন জরুরি সভা
ফরমানে লিখিলেন দু’দেশ থেকেই আসিবেন খয়ের খা ।
সময় মিলেনা,সিডিউল মিলেনা,ভিন দেশে মন্ত্রীগণ
যুদ্ধাপরাধির বিচারের মধ্যে এ কোন উৎকোচ জ্বালাতন!
বহুকাল পরে বসিল সভা ঘুচিল মনের ক্ষোভ
ও’পার থেকেও বহুজন এলো বড় বড় দারি গোঁফ ।
মিটিং চলিল টানা তিন দিন,যত তর্ক যত ছেত
এ দেশ বাসীর লক্ষ্য;দেখিবে বি.এস.এফ এর পরি নতি অবশেষ ।
অবশেষে এক সচিব দিল টিভিতে সেই পুরনো ভাষণ
যাহা শুনিতে শুনিতে মানুষের কানে পরিয়াছে আচ্ছাদন।
শুরু করিল বলা,“আমরা তদন্ত প্যানেল করিব গঠন
সত্যিকারের অপরাধীকে হাজির করিব সম্মুখে সভাজন।”